ড. ইউনূসকে শ্রম আদালতে তলব
জেটিভি রিপোর্ট: নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আদালতে তলব করে সমন জারি করেছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। তার নিজের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারীর দায়ের করা পৃথক তিন ফৌজদারি মামলায় আগামী ৮ অক্টোবর তাকে ঢাকা শ্রম আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করা হয়েছে।
ড. ইউনূস ছাড়াও একই দিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকেও আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন গঠন করায় কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাদীরা হলেন
১. আব্দুস সালাম- কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার চড়াইকোল গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৫ সালের ২৭ জুন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে স্থায়ী পদে জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
২. শাহ আলম- নিলফামারী জেলার এলাহী মসজিদপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে। প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক তিনি। ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে স্থায়ী পদে জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে যোগদান করেন।
৩. এমরানুল হক- হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার নারিকেলতলা গ্রামের সফর আলী ছেলে। তিনি প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য। তিনি ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ গ্রামীণ কমিউনিকেশান্সে স্থায়ী পদে জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে যোগদান করেন।
এই তিনজনের দাবি, প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন গঠন করায় তাদের হয়রানিমূলক বদলি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সবশেষে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এই অভিযোগে গত ৩ জুলাই ড. ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন তারা। এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের নামে সমন জারি করেছে আদালত।