২২৭ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন যুবলীগ নেতা সম্রাট
সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ২২৭ কোটি টাকা পাচার করেছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে জুয়াড়িদের কাছে পরিচিত সাবেক যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। দেশে তার তেমন কোন সম্পদ পাওয়া না গেলেও বিদেশে এই বিপুল অর্থ পাচার করেছেন বলে প্রমাণ মিলেছে। পাচারের অর্থের অধিকাংশই ব্যবহৃত হয় সেসব দেশের ক্যাসিনোতো।
দুদক সূত্র বলছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সম্রাট সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন ৩ কোটি ৬৫ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার বা ২২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। একই সময়ে মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন দুই লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা ৪০ লাখ টাকার বেশি।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বরে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। তারই অনুসন্ধানে এসব তথ্য সামনে আসে।
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীতে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া র্যাবের অভিযানে আটক হন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরপর ধরা পড়েন আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এ দু’জনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তাদের বক্তব্যে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে তথ্য সামনে আসলে একই বছরের ৬ অক্টোবর গ্রেফতার হন সম্রাট।