চিকিৎসার জন্য বাড়ি বিক্রি করলেন বাবা, ৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও মেয়ে

0

চিকিৎসার পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়া মেয়েকে ধরিয়ে দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আর পুরস্কার ঘোষণা করেও সন্ধান পাননি অসুস্থ বাবা আবদুল মান্নান। ফলে বিনা চিকিৎসায় মরতে বসেছেন ভ্যানচালক বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ঘেচুয়া গ্রামে।

জানা যায়, সখীপুর উপজেলার ঘেচুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ভ্যানচালক আবদুল মান্নান (৬০)। চার মেয়ে ও এক ছেলেসন্তানের বাবা তিনি। ইতোমধ্যে চার মেয়ে ও এক ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন।

ভ্যানচালক আবদুল মান্নানের স্ত্রী সেলী বেগম বলেন, বছর খানেক ধরে নানা রোগে আক্রান্ত হন আমার স্বামী। অসুস্থ থাকায় গাড়িও চালাতে পারছেন না। স্বামীর চিকিৎসার জন্য ৮ সেপ্টেম্বর পাঁচ লাখ টাকায় নিজ বাড়ি বিক্রি করে দেই। ৯ সেপ্টেম্বর ছোট মেয়ে চায়না আক্তারের সঙ্গে উপজেলার নলুয়া বাজারের একটি ব্যাংকে পাঁচ লাখ টাকা জমা রাখতে যান স্বামী। ছিনতাইয়ের ভয়ে টাকাগুলো মেয়ের ব্যাগে রাখা হয়। ব্যাংকে টাকা জমা রাখার জন্য স্বামীকে নেয়া হলেও তাকে বসিয়ে রেখে মেয়ে চায়না আর তার স্বামী হাসান মিয়া টাকাগুলো নিয়ে উধাও হয়ে যায়।

সেলী বেগম বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ে ও জামাতার খোঁজ পাইনি। অবশেষে ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার আমার স্বামী সখীপুর থানায় মেয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দেন। এছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকে মেয়ের ছবিসহ একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। চরম অসুস্থ হয়েও টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় ভুগছেন আমার স্বামী। অজ্ঞাত কোন রোগে ভুগছেন তা বলতে পারছি না। বিছানায় শুয়ে ঘনঘন বমি করছেন তিনি।

সেলী বেগম আরও বলেন, গার্মেন্টেসে চাকরি করা অবস্থায় মেয়ে চায়নার সঙ্গে বিয়ে হয় হাসান মিয়ার। এ কারণে জামাতা হাসানের প্রকৃত বাড়ি কোথায় সেটিও জানি না।

সখীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযুক্ত মেয়ে চায়নাকে আটক আর টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com