অবৈধ সম্পর্কের প্রস্তাব চেয়ারম্যানের, ফোনালাপ ফাঁস করলেন গৃহবধূ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় আব্দুর রহিম ও সহযোগী শাহিন আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছেন গৃহবধূ। বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী পলাতক।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম (৪২) জয়াখালী গ্রামের শেখ আবু দাউদের ছেলে। চেয়ারম্যানের সহযোগী শহিন আলম (৪০) একই গ্রামের মোজাম্মেল গাজীর ছেলে।
কৈখালী ইউনিয়নের শৈলখালী গ্রামের ওই গৃহবধূ বলেন, আমরা গরিব মানুষ। স্বামী কাজের জন্য অধিকাংশ সময় বাইরে থাকেন। চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম আমাকে গৃহহীন প্রকল্পের ঘর দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। ঘর দেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকাও ঘুষ নেন তিনি। এরপর মোবাইলে কথা বলার একপর্যায়ে প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেন চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম। আমি অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকেও একই প্রস্তাব দেন। চেয়ারম্যানের এই অনৈতিক প্রস্তাবের কথাবার্তা মোবাইলে রেকর্ড করে রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ঘর দিতে না পারলে আমি তার কাছে টাকা ফেরত চাই। ৯ সেপ্টেম্বর টাকা ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান চেয়ারম্যান। এরপর ইউনিয়ন পরিষদের তিনতলায় চেয়ারম্যানের রেস্টরুমে নিয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। চেয়ারম্যানের সহযোগী শাহিন আলম দরজার বাইরে পাহারা দেন। পরে হাতেপায়ে ধরে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পাই। এ ঘটনায় মামলা করেছি। সংবাদ সম্মেলন করেছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
শ্যামনগর থানা পুলিশের ওসি নাজমুল হুদা বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও সহযোগী শাহিন আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছেন গৃহবধূ। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তবে আসামিরা পলাতক।