আউয়াল দম্পতির জামিন বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আজ এ কথা জানান। তিনি বলেন, দুদকের আনা রিভিশন মামলায় শুনানি নিয়ে আদালত তাদের জামিন বাতিল প্রশ্নে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করে দুদক।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, মোট তিনটি মামলার মধ্যে এ কে এম এ আউয়াল তিনটিতে এবং একটিতে তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে। এ তিন মামলায় গত ৭ জানুয়ারি তারা হাজির হয়ে জামিন আবেদনের পর ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে ৩ মার্চ তারা পিরোজপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান জামিন না মঞ্জুর কারে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তীতে তাদের ডিভিশন দিতে আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালতে সেটি মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে জেলা জজকে বদলি করা হয়। বিকেলে ফের জামিন আবেদনের পর ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ (যুগ্ম জেলা জজ) নাহিদ নাসরিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করে দুইজনের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে আবেদন করা হয়।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক পরিচালক মো. আলী আকবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে ৩টি মামলা দায়ের করেন। তিনটি মামলায় সাবেক এমপি আউয়াল এবং একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের ১৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি নিজের দখলে নেন। পরে সেখানে তিনি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অফিস হিসেবে ভাড়া দেন। এতে চুক্তি করেন এমপির স্ত্রী লায়লা পারভীন। জমি সংক্রান্ত ও বাড়ী নির্মান বিষয় অনুসন্ধানের পর দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ নিশ্চিত হয়ে মামলা রুজু করে দুদক।
এ কে এম আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পিরোজপুর-১ আসন এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।