‘পেঁয়াজের দাম না কমার জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও দায়ী’
পেঁয়াজের বাড়তি দামের বোঝা ভোক্তাদের আরও কিছু দিন বইতে হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, খুচরা বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এর জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও দায়ী।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে তিন দিনব্যাপী ‘লেদারটেক বাংলাদেশ ২০১৯’ এর প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, আমাদের ভাগ্য ভালো, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ল্যান্ড কানেকশন রয়েছে। তাই আমরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি। টেকনাফে ল্যান্ড করতে পেঁয়াজের আমদানি খরচ প্রতিকেজি পড়েছে ৭৫ টাকা। তাই পেঁয়াজের দাম কমছে না।
এ সমস্যা সমাধান করতে হলে পেঁয়াজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম না কমার জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও দায়ী। সরকারের ১০টি মনিটরিং টিম কাজ করছে। কিন্তু মনিটরিং করে পেঁয়াজের দাম শতভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। কারণ এতো জনবল নেই।
মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এতো দূর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের মাইন্ড সেটআপ করতেও একটু সময় লেগেছে। তাই ধীরে ধীরে পেঁয়াজের বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে। তবে এ সমস্যা সমাধান করতে হলে পেঁয়াজ উৎপাদনে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।
রাজধানীর পাইকারি বাজারে কেজিতে ৫ টাকা কমলেও খুচরা পর্যায়ে এর তেমন একটা প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন বিক্রেতারা।
গত দেড় মাস ধরে পেঁয়াজের বাজারে নাকাল ভোক্তারা। রাজধানীর শ্যামবাজারে বৃহস্পতিবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। বাজারে ঢুকেছে পেঁয়াজ, কমেছে দামও। তবে বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানালেন আড়তদাররা। তবে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসেও স্বস্তি পাচ্ছেন না খুচরা বিক্রেতারা।
আগামী মৌসুমে সরকার পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রাখার কথা ভাবছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।