এমপি কামরুলের ফোনালাপ ফাঁস, ‘চাঁদাবাজি’র প্রচারণার বিরুদ্ধে মামলা

0

ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ফোনালাপকে ‘চাঁদাবাজি’ হিসেবে উল্লেখ করে ফেসবুকে প্রচার করা হলেও সাংসদ কামরুল বলছেন, পাওনা টাকা চাইতেই তিনি স্থানীয় ওই ব্যবসায়ীকে ফোন দিয়েছিলেন।

সালিশ আলোচনাকে ‘চাঁদাবাজি’ উল্লেখ করে প্রচারণার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রী। 

গেল শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় ফিড অপারেটর আলী আহমদ ও দেশত্যাগী কথিত সাংবাদিক কনক সারোয়ারের নামে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। 

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশে থাকা আসামি আলী আহমদকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কামরাঙ্গীরচরের খলিফাবাগ ও রসুলপুর এলাকায় কেবল নেটওয়ার্কের লাইন সংযোগ রয়েছে ঢাকা টোটাল কেবল নেটওয়ার্কের। প্রতিষ্ঠানটির পাওনা টাকা আটকে রেখেছেন ফিড অপারেটর আলী আহমদ। বিষয়টি নিয়ে তিনি স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের কাছে নালিশ দেন। নালিশের পরিপ্রেক্ষিতে আলী আহমদকে ফোন করে ‘কেন টাকা দিচ্ছেন না’ তা জানতে চান এমপি কামরুল।

কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার বিভিন্ন ঘটনা, অভিযোগে তাকে (এমপি কামরুল) সালিশ করতে হয়। সালিশে নিষ্পত্তির কারণে বিগত ১২ বছরে শত শত ঘটনা-বিষয় মামলা-মোকদ্দমায় গড়ায়নি।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, করোনাকালে সামনাসামনি বসে বিবাদ নিষ্পত্তি সম্ভব নয় বিধায় সম্প্রতি আসা অভিযোগটি তিনি টেলিফোনে নিষ্পতির উদ্যোগ নেন। তিনি আলী আহমদকে ফোন করে অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে চান। কিন্তু আলী আহমদ অসৎ উদ্দেশ্যে এই কথোপকথন রেকর্ড করে জনৈক কনক সারোয়ারকে সরবরাহ করেন। কনক সারোয়ার সেটি ইউটিউবে ভাইরাল করেন।

দেশে অবস্থানকারী স্থানীয় ফিড অপারেটর আলী আহমদকে দ্রুতই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com