আজহারের রায়ের রিভিউ আবেদন করব: খন্দকার মাহবুব
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
এ টি এম আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই এই পুনর্বিবেচনার আবেদন করব। রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রায় কার্যকর করা যাবে না। এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
এর আগে সকালে আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
তিনটি অভিযোগে (২, ৩ ও ৪ নম্বর) ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ৬ নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেয়া কারাদণ্ডের সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। আর ৫ নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেয়া কারাদণ্ডের সাজা থেকে আজহারুলকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তৎকালীন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, আজহারুলের বিরুদ্ধে গঠন করা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে গণহত্যা, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের তিনটি অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা (মৃত্যুদণ্ড) দেয়া হয়। ধর্ষণ, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনের দুটি অভিযোগে তাকে মোট ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুরের আলবদর নেতা ছিলেন আজহারুল। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি। এই আপিলের ওপর গত ১৮ জুন শুনানি শুরু হয়। ষষ্ঠ দিনে গত ১০ জুলাই শুনানি শেষ হয়। আজ আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করলেন।