শিশু ‘অপহরণকারী’ কে এই লোপা তালুকদার?
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি থেকে ফুল বিক্রেতা জিনিয়াকে (৯) ফুচকা খাইয়ে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় নূর নাজমা আক্তার লোপা তালুকদার (৪২) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগ।
গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা দশ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ জেলা ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিম জিনিয়াকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী লোপা তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মু. মাহবুব আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এদিক সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে লোপা তালুকদারে ছবি। দেখা যাচ্ছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ছবি রয়েছে এই লোপা তালুকদারের। মন্ত্রী এমপি, এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ছবি তুলে ফেলেছেন। তাই অনেকেই ‘লোপা’কে রিজেন্ট গ্রুপের সাহেদের ‘লেডি ভার্সন’ বলছেন।
জানা যায়, লোপা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় পরিচিত মুখ। লোপা ফেসবুকেও সক্রিয়। তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা গেছে, তার পরিচয়ের বহর। তার ফেসবুকে প্রফাইলে গিয়ে দেখা গেছে তিনি অগ্নি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আওয়ামী পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র রিপোর্টার নবচেতনা, সিনিয়র রিপোর্টার, সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার মোহনা টিভি, ডিরেক্টর শীর্ষ টিভি, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সাপ্তাহিক শীর্ষ সমাচার, বাংলাদেশ কবি পরিষদের কবি।
লোপা নিজেকে একজন সিনিয়র সাংবাদিক এবং আওয়ামী পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। একজন নেটিজেন বলছেন, ‘অথচ এই নারীর নামে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচারসহ বেশ কিছু মামলা ছিলো। কিন্তু এসব থাকা স্বত্বেও সে অবাধে সব জায়গায় বিচরণ করেছে। এরকম লোপা আছে সারা দেশজুরে। এদের দমাতে না পারলে যে পচন ধরেছে তা ভবিষ্যতে কোনও কিছু দিয়ে থামানো যাবে না। তাই শুদ্ধি অভিযানটা শুরু করা দরকার সমাজের সর্বত্র।’ তাদের কিছুই হবে না কারণ এদের গায়ে কালো কোর্ড। তারা গ্রেফতার হলেও এমনিতে বেরিয় যাবে।