সাকিবের সঙ্গে আকসু’র জেরার মুখে পড়েন মুশফিকও!
দুই বছর আগে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য জুয়াড়ি থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তখন স্বীকার করেননি সেটি। সাকিবের পাশাপাশি আকসুর তালিকায় নাম ছিল বাংলাদেশের আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমেরও।
তাদের হয়ে প্রকাশ্যে ও গোপনে কাজ করছে দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। জুয়াড়িরা ফোন কিংবা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কি না- সেদিকে কড়া নজর রাখছে ইউনিটটি।আকসুর জেরার সামনে সে সময় পড়তে হয় মুশফিকুর রহিমকেও। জানতে চায় তাকেও কোনো জুয়াড়ি ফোন করেছে কি না?
জবাবে মিস্টার ডিপেন্ডেবল জানান, সে রকম কারো কাছ থেকে ফোন পাননি তিনি।
পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি পর্যবেক্ষণের জন্য মুশফিকের মোবাইল ফোন চায় আকসু। সেই ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে তারা। তবে তাতে অমন কিছু পাওয়া যায়নি। ফলে সন্দেহের তালিকা থেকে মুক্ত হন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
নিয়ম হচ্ছে, বাজিকররা কোনো ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর অফার করলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে আকসুকে জানাতে হয়। এটা গোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছরও আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে পারেন ক্রিকেটার।