‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা’
২ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চলাকালে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা-২০১৯ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। যদি কেউ এ সময়ের পরে আসে তবে তার কারণ ও যাবতীয় তথ্য লিখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতে হবে। সেই তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘২ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চলাকালে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী। দীপু মনি বলেন, এবার সারা দেশে মোট ২৯ হাজার ২৬২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ২৯ হাজার ৬৭৭টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার সারাদেশে মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ১২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৫ জন ছাত্র ও ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন ছাত্রী রয়েছে। ২০১৯ সালের জেএসডি পরীক্ষায় অনিয়মিত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ জন ও জেডিসি পরীক্ষায় ৩০ হাজার ২৯১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
দীপু মনি বলেন, পরীক্ষায় এক, দুই ও তিন বিষয়ে অকৃতকার্য জেএসসিতে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৩২ জন ও জেডিসিতে ২১ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়া বিদেশের মোট ৯টি কেন্দ্রে ৪৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। পরীক্ষায় সাতটি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। ইংরেজি ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।