গণতন্ত্র পরের কথা ভোটতন্ত্রই রক্ষা হচ্ছে না: খালেকুজ্জামান
গণতন্ত্র তো পরের কথা ভোটতন্ত্রই রক্ষা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান।
গতকাল শনিবার (২৯ আগস্ট) রাতে গণসংহতি আন্দোলনের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘সংকটে দেশ ও জনজীবন: মুক্তি কোন পথে?’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, বিশেষজ্ঞের মতে তিনটি পরিণতির কথা বলা হচ্ছে। চলমান পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি বহাল থাকে তাহলে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বহুগুণে বেড়ে যাবে। শাসক শ্রেণির মধ্যে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। পারিবারিক, সামাজিক, আঞ্চলিক, বর্ণবাদী সংঘাত বেড়ে যেতে পারে। নারী-শিশু এবং শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশা অনেক বেড়ে যেতে পারে। বড় ধরনের যদি কোনো সংস্কার করা হয় তাহলে আপাতত সমস্যা লাঘবের পথ কিছুটা খুলতে পারে। কোন কোন জায়গায় বৈপ্লবিক রূপান্তর ঘটতে পারে। দুনিয়া বদলের অনেক দৃষ্টান্তও স্থাপন হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে জনগণের ক্ষমতায়নের কথা বলা হয়েছে। গণতন্ত্র তো পরের কথা এখন ভোটতন্ত্রই রক্ষা হচ্ছে না। আমাদের ভোটের যে ব্যবস্থা, জনপ্রতিনিধিদের নামে সংসদ থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত যারা থাকে, তারা রাতের ভোটে, টাকার জোরে, বাহুবলে, ক্ষমতার দাপটে, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের জাল-জালিয়াতি এবং কারচুপিতে নির্বাচিত হয়ে যায়। রাজনীতি এখন হয়ে গেছে দুর্বৃত্তায়িত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা নির্বাচন কমিশন এখনো আইনগত ভিত্তির উপরে দাঁড়ায়নি। শুধু নির্বাচন কমিশন নয় অন্যান্য সাংবিধানিক এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যেমন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য অধিকার কমিশন এগুলোতে কিভাবে কর্মকর্তা নির্বাচিত হবে সেই আইনগত ভিত্তি এখনো তৈরি হয়নি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার।
আলোচনায় আরও অংশ নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।