নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে এ নির্বাচন কমিশন চুড়ান্তভাবে ব্যর্থ: রব

0

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের পদ-পদবির নাম পরিবর্তন, ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের নাম বদল এবং প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করার প্রশ্নসহ নির্বাচন কমিশন তুঘলকি কর্মকান্ডে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জে এস ডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।

আ স ম রব বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের পদ-পদবির নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব কোনক্রমেই নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নহে। দীর্ঘদিন ধরে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং অতি পরিচিত ‘ইউনিয়ন’, ‘চেয়ারম্যান’, ‘মেয়র’ শব্দগুলো পরিবর্তন করার কোন দাবি জনগণ থেকে উত্থাপিত হয়নি, তবু নির্বাচন কমিশন এগুলো পরিবর্তন করার প্রস্তাব উত্থাপন করছে। বাংলা ভাষা থেকে বিদেশি শব্দ অপসারণ করা যেমন নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। তেমন ভাষার প্রশ্নে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানও নির্বাচন কমিশন নয়।

তিনি বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ ১৯৭২ একটি ঐতিহাসিক দলিল। কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই এ নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব এবং প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা বিলোপ করে আইনের খসড়া তৈরি করায় প্রমাণ হয়েছে ইলেকশন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্বের বাইরে তুঘলকি কর্মকান্ডে নিয়োজিত। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে এ নির্বাচন কমিশন চুড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে, যা সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। তাদের তিন বছরের দায়িত্বের মাঝে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনও দেশবাসীকে উপহার দিতে পারেনি।

এজন্য নির্বাচন কমিশন এর বিবেকের সামান্যতম অনুতাপ পরিলক্ষিত হয়নি এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেনি।

রব বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মৌলিক প্রশ্নে কোন প্রস্তাব উত্থাপন না করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরো অকার্যকর ও ভঙ্গুর করার নির্বাচন কমিশনের হীন চেষ্টা কোনক্রমে গ্রহণীয় নয়। প্রার্থিতা বাতিলের সরাসরি ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকার পরও সে ক্ষমতা সরিয়ে ফেলার প্রস্তাবে প্রমাণ হয় নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে নিজেকে অযোগ্য করে তুলছে। নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার কোন প্রচেষ্টা কমিশনের নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে লন্ডভন্ড করে জাতীয় জীবনে যে ‘ক্ষতি’ ও ‘ক্ষত’ করেছে নির্বাচন কমিশন তার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তুঘলকি কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকাই হবে জাতির জন্য মঙ্গলজনক।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com