পিটিয়ে ৩ জনকে হত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত, রিমান্ডে রুবেল-বরকত
ফরিদপুরে দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের আলোচিত দুই ভাই রুবেল ও বরকত এর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে ডাকাত সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করেছে পুলিশ।
৩ জনকে পিটিয়ে হত্যার এই মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ফরিদপুরের আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ফরিদপুর সদরের এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারিক হাকিম মো. ফারুক হোসেন।
২০১৫ সালে ফরিদপুর শহরতলীর বদরপুরে গণপিটুনীতে ৩ জন নিহত হন। এই মামলার আসামি হিসেবে বরকত ও রুবেলকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, বদরপুরে ওইদিন ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ৩ জন নিহত হন। পরদিন এলাকার গ্রাম পুলিশ চিত্তরঞ্জন কর্মকার বাদী হয়ে অজ্ঞাত প্রায় পনেরশ’ লোককে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার গত ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর এ মামলার ব্যাপারে ফাইনাল প্রতিবেদন দিলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
পুলিশ জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গত ৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয় বরকত ও রুবেরকে। তারা পরবর্তিতে বিভিন্ন মামলায় জবানবন্দিতে ২০১৫ সালে গণপিটুনিতে তিন ব্যাক্তির নিহত হওয়ার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। পরে পুলিশের আবেদনে ওই মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয় এবং ওই মামলায় রিমান্ডের এ আবেদন জানায় পুলিশ। এ রিমান্ড শুনানির সময় বরকত ও রুবেল আদালতে হাজির ছিলেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ জামান বলেন, গত ২৩ আগস্ট ওই মামলায় বরকত ও রুবেলের পুণরায় রিমান্ড চাইলে আদালত ২৭ আগস্ট রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ওই দুই ভায়ের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত গত ১৬ মে রাতে জেলা আ.লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। সুবল সাহার বাড়ি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত। এ ঘটনায় গত ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৭ জুন ওই মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হন বরকত ও রুবেল।