৫৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতি, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পরোয়ানা
৫৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলায় বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ (বিএম) শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক গাজী তৌকির রহমান শুভর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলি আফরোজ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের খান সড়কের বাসিন্দা কাজী আতিকুর রহমান বাদী হয়ে শুভর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা করেছিলেন। তখন আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছিল। তবে সমন পেয়েও আদালতে হাজির না হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গাজী তৌকির রহমান শুভ নগরীর কলেজ রোড এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদ আলী খান জানান, শুভ ও আতিকুর রহমান একসঙ্গে ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। আতিকুর রহমানের মেসার্স সুরাইয়া কনস্ট্রাকশনের নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে ঠিকাদারি কাজ করেছেন শুভ। এছাড়াও ব্যবসায়ীক প্রয়োজনের কথা বলে বিভিন্ন সময় আতিকুর রহমানের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ধার নেন তিনি। এভাবে ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত আতিকুর রহমানের কাছ থেকে শুভ ৫৫ লাখ টাকা নেন।
ধারের টাকা বাড়তে থাকায় শুভকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেন আতিকুর রহমান। ২০১৮ সালের শেষ দিকে শুভকে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বলেন আতিকুর রহমান। এরপর টাকা না দিয়ে নানাভাবে ঘুরাতে থাকেন তিনি। পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর আতিকুর রহমানের মেসার্স সুরাইয়া কনস্ট্রাকশনের নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক সাভারের হেমায়েতপুর শাখার ৫৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন শুভ।
পরদিন ১৪ অক্টোবর চেক জমা দেন আতিকুর রহমান। তবে শুভর ওই ব্যাংক হিসেবে টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তারা চেক ফেরত (ডিজ অনার) দেন। এ ঘটনায় গত ১ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন আতিকুর রহমান। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তৌকির রহমান শুভর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।
চেক জালিয়াতির অভিযোগ প্রসঙ্গে গাজী তৌকির রহমান শুভ বলেন, আতিকুর রহমান এক সময় তার ব্যবসায়ীক অংশীদার ছিলেন। তারা এক সঙ্গে ব্যবসা করতেন। আতিকুর রহমানের প্রস্তাবে ব্যবসায়ীক অংশীদার হিসেবে তিনি যুক্ত হন। লোকসানের কথা বলে আতিকুর রহমান তার অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এরপর মূলধন ফেরত চাওয়ার পর থেকেই আতিকুর রহমান ষড়যন্ত্র শুরু করেন।