সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় চার্জ গঠন
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় চার্জ গঠন করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এর আদালতে আসামি পক্ষ চার্জ থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ চার্জ গঠনের জন্য নিবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠন করেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারের জন্য সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন। চার্জ গঠনের সময় আদালত আসামিকে জিজ্ঞাসা করেন আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনানী হয়েছে আপনি বলুন, দোষী না নির্দোষ। জবাবে আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন এবং ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ৩০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। গত ১৩ আগস্ট মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রেরনের নির্দেশ দেন সি.এম.এম। গত ১৯ আগস্ট মহানগর দায়রা জজ চার্জশীটটি গ্রহণ করেন।
গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদকে। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে থাকা সাহেদকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গত ৬ জুলাই সাহেদের নিয়ন্ত্রণাধীন উত্তরা ও মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওইদিনই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করেন সারওয়ার আলম। সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর সাহেদের একের পর এক অপকর্ম প্রকাশ পায়।