দুই আ.লীগ নেতার বিরোধে পঙ্গুত্বের পথে ছাত্রলীগ নেতা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় চিরদিনের মত পঙ্গু হতে বসেছেন ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ (২২)। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত আরেক ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নে এই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। ইউনিয়নের হলুদিয়া ফরেস্ট রেঞ্জের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির বিরোধের জের ধরে করা এই হামলার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাপস দত্তকে দায়ী করছেন হামলায় আহতদের স্বজনরা।
হামলায় আহত তৌহিদ বান্দরবান সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। আবু সুফিয়ান উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা।
হামলায় তৌহিদের দুই হাত ও হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং ডান হাতের লিগামেন্ট কেটে যাওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তার দুই হাতের জখম বেশ গুরুতর বলে চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এই হামলায় আহত অন্য জন আবু সুফিয়ান চমেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক তাপস দত্তের সাথে বাজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ চৌধুরীর দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। গত ইউপি নির্বাচনে দুজনই এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সেই থেকে দুজনের বিরোধের শুরু।
স্থানীয়ভাবে সোলাইমান বাঁশী চেয়ারম্যান তাপস দত্তের গ্রুপ ও তৌহিদ শহীদুল্লাহ্ চৌধুরীর গ্রুপ করতেন। গ্রুপিং-রাজনীতির বৈরিতা তাদের মধ্যেও ছিল। এর রেশ ধরে গত ১৯ আগস্ট সোলাইমান বাঁশীর গ্রুপের সাথে তৌহিদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তার রেশ ধরেই একদিন পর চেয়ারম্যান তাপস দত্তের নির্দেশে তৌহিদের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার কথা জানিয়ে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘তৌহিদের বাড়ি থেকে তাকে আমার বাড়ি নেওয়ার পথে স্থানীয় ক্যাডার আলমগীর, সোলেমান বাঁশী, বাবলু বড়ুয়াসহ আরও কয়েকজন দা আর লাঠি নিয়ে এই হামলা করে। এ সময় চেয়ারম্যান তাপস দ্ত্ত ঘটনাস্থলেই একটা গাড়িতে অবস্থান করছিলেন। উনার গাড়িকে ক্রস করে একটু সামনে এগোতেই আমাদের ওপর অতর্কিত এই হামলা হয়।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম পেয়েছি। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।