চেয়ারম্যানপুত্র ও চাচাতো ভাই মিলে প্রতিবন্ধীকে গণধর্ষণ
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুই ধর্ষক। আজমিরীগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহমেদ তালুকদারের আদালতে এ জবাববন্দি রেকর্ড করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো- আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মশক আলীর ছেলে বাঁধন মিয়া ও তার চাচাতো ভাই মনিরুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, উপজেলার বিরাট গ্রামের অধির শীলের প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৭) মেয়ে সোমবার বিকেলে বাড়ির পেছনে গরুর গোবর আনতে যায়। এ সময় প্রতিবেশী বাঁধন মিয়া ও তার চাচাতো ভাই মনিরুল ইসলাম কিশোরীর মুখে গামছা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মেয়ের চিৎকার শুনে এগিয়ে যান মা। তখন বাঁধন মিয়া ও মনিরুল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এরপর গামছা বাঁধা অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করেন মা ও প্রতিবেশীরা। বিষয়টি বাঁধন ও মনিরুলের মা-বাবা এবং এলাকাবাসীকে জানান কিশোরীর মা। তারা বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা চালান এবং ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। রাত ১২টা পর্যন্ত কোনো সমাধান না হওয়ায় পুলিশকে বিষয়টি জানান কিশোরীর মা। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে কিশোরীকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মো. সেলিম বলেন, মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাটি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছিল। খবর পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় জড়িত দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে কিশোরীর মা মামলা করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুই ধর্ষক। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।