তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখা হবে পাপিয়া দম্পতিকে
জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মাসদুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ দিন বিমানবন্দর থানার জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে র্যাব। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার মামলার রিমান্ড শেষে বিমানবন্দর থানার জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় তাদের রিমান্ডে দেয়া হয়েছে বলে একটি অবহিতপত্র দাখিল করে মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব। এ দুই মামলায় গত ১১ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত পাঁচদিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে করোনার কারণে তখন তাদের রিমান্ডে নেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র্যাব।