গণপিটুনীতে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ আহত, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, ওসি ক্লোজড
কক্সবাজারে গণধোলাইয়ে এক ‘ইয়াবা কারবারী’র মৃত্যুর ঘটনায় ক্লোজড হয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান কবির। তাকে ক্লোজড করে সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া বাংলাবাজারের পশ্চিম মুক্তারকুল এলাকার মৃত আব্দুর শুক্কুরের ছেলে নবী হোসেন একজন ইয়াবা কারবারী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবারে জড়িত। সোমবার দুপুরে ইয়াবা বিক্রির সময় তাকে স্থানীয় জনতা বেধড়ক গণধোলাই দেয়। পরে ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সোলতানসহ স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেন। ওইদিন বিকালের দিকে তার শারীরিক অবস্থা ভালো হলে তাকে থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার ভোরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মারা যান নবী হোসেন। এরপর রাতেই কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান কবিরকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান, সোমবার দুপুরে জানতে পারি এলাকার এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে রেখেছে স্থানীয় জনতা। পরে আমি এসে পুলিশে খবর দিই। ওই সময় মাদক ব্যবসায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকেসহ স্থানীয় উপস্থিত লোকজনকে আঘাত করার চেষ্টা করে পালিয়ে যায়। তখন তার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্থানীয় টমটম চালক সাহাব উদ্দিন আহত হন। পরে তাকে ধাওয়া করে স্থানীয় লোকজন গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার মো. শাহজাহান কবির জানান, খরুলিয়া বাজার এলাকায় দিনে দুপুরে ইয়াবা বিক্রি করার সময় নবী হোসেন নামের একজনকে নগদ টাকা ও ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। গণধোলাইয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। পরে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।