বাড়ি থেকে ধরে নেয়ার সময় প্রদীপ বলেন,‘স্বামীর জন্য কবর খুঁড়ে রাখিস’

0

বেরিয়ে আসছে প্রদীপের নিচের অন্ধকারের নতুন নতুন কাহিনী। এবার মানবপাচারকারী সাজিয়ে দুই দিনমজুরকে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে। মাঝরাতে ঘর থেকে তুলে নেয়ার সময় পরিবারকে কবর খুঁড়ে রাখতে বলেন বলেও দাবি উঠেছে। নিহতদের স্বজনরা সময় সংবাদের কাছে এসব অভিযোগ করেছেন।

ফরিদা, যার স্বামী ও ভাইয়ের প্রাণ গেছে কথিত বন্দুকযুদ্ধে। টেকনাফ থানায় গিয়ে অভিযোগ করছিলেন তিনি।
টেকনাফের টেকের পাড়ায় পরের জমিতে ঘর তুলে থাকতেন রাজমিস্ত্রি আব্দুর রহমান। টানাটানির সংসার তার। তারপরও অসহায় এক রোহিঙ্গা পরিবারকে একবেলা ভাত খাইয়েছিলেন। দু’দিন পরই গত বছরের ২৫ জুন সদলবলে আসেন টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। পরিবারের দাবি, তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুর রহমানের স্ত্রীকে স্বামীর কবর খুঁড়ে রাখার পরামর্শ দিয়ে যান ওসি প্রদীপ।

আব্দুর রহমানের স্ত্রী বলেন, ‘৭-৮ জন ঘরে ঢুকে আমার স্বামীরে ধরে নিয়ে গেছে। আমার স্বামীরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন এ কথা জিগাইতে বলে তোমার বাড়িতে কবরস্থান থাকলে খুঁড়ে রেখো। তখন পুলিশ বলে তোমার স্বামীরে মেরে ফেলবো, কাল রাতে ৪ জনকে মারছি। আজকে তোমার স্বামীকে মারবো।’
সে রাতেই আব্দুর রহমানের বোন ফরিদা ও তার স্বামী আব্দুল কাদেরকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই দু’জন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। কাদেরের স্ত্রীর অভিযোগ জেলে নেওয়ার আগে থানার মুন্সি তার গলার চেইন ছিনিয়ে নেন।
টেকনাফ থানার নবনিযুক্ত ওসি বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিলেও এতদিন কেন অভিযোগ করা হয়নি সে প্রশ্ন তোলেন।
পরে বিস্তারিত শুনতে অভিযোগকারী নারীকে নিয়ে যান নিজ কক্ষে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com