জেটিভি রিপোর্ট : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৪তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতন কেন ১১তম গ্রেডে প্রদান করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। এই রুল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত সাড়ে তিন লাখ শিক্ষকের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জনতা ২৪ টিভিকে জানিয়েছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (৭ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ.আর.এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এবং তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও অ্যাডভোকেট সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিগত ২০১৪ সালের ৯ মার্চে ৩৮.০০৮.০৩৫.০০.০০.০১০.২০১৩-১১১ স্মারকের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের বেতন ১৪ গ্রেডে নির্ধারণ করেন, যা প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন গ্রেডের সাথে বৈষম্যমূলক।
এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত ৩০ জন সহকারি শিক্ষক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত ১৪ তম বেতন নির্ধারনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না ও ১১ তম গ্রেডে কেন তাদের বেতন নির্ধারন করা হবে না এই মর্মে নির্দেশনা চেয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন।