শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে তারেক রহমান এবং মির্জা ফখরুল এর বাণী

0

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান’র বাণী —

“শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি তাদের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। দেশের হিন্দুসম্প্রদায় ধর্মীয়ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করে। যেকোন ধর্মীয় উৎসব সম্প্রদায়ের ভেদরেখা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মিলনের বাণী শোনায়, মানব সমাজের মধ্যে এক অনন্য ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত করে। আনন্দরুপ বিনম্রতায় সমাজে সকলকে এক গভীর শুভেচ্ছাবোধে আপ্লুত করে।

সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানব কল্যাণ। যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন এমনি এক সময়ে যখন সমাজে অত্যাচারী রাজার নিষ্ঠুর অত্যাচার ও দূঃশাসন কায়েম ছিল। তিনি পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিলেন নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষকে রক্ষার জন্য। তিনি অন্যায়কে দমন করে পৃথিবীতে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। তাই বাংলাদেশীরা কখনোই ঔদার্য, ব্যাপক পরিসর ও অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা হারায়নি। এখানে সকল ধর্মের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, বৈষম্য, বৈকল্য ও অন্যায়-অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে যার যার অবস্থানে থেকে আমাদের সবাইকে অবদান রাখতে হবে।

জন্মাষ্টমীর এই শুভদিনে আমি সকলের প্রতি এ আহবান জানাই।”

বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’র বাণী —

“ জন্মাষ্টমীর এই শুভ দিনে আমি হিন্দু ধর্মের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন শুভ জন্মাষ্টমী। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব উৎযাপন করা হয় নানাভাবে। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে এসেছিলেন সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠার জন। তিনি হিং¯্র স্বৈরাচারকে পরাজিত করে সমাজে ন্যায় ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সকল ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের মূলবাণী মানুষে মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও শুভেচ্ছার পরিসর বিস্তৃত করা। সকল কালে সকল যুগে বিভিন্ন ধর্মের প্রবক্তাগণ মানুষকে সত্য, ন্যায় ও কল্যানের পথে চালিত হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ হিসেবে সকল ধর্মের মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী।

আমি জন্মাষ্টমীর এই শুভক্ষণে সকলের সুখ, শান্তি ও কল্যান কামনা করছি। ”

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com