তদন্তের হিমঘরে এক ডজন চাঞ্চল্যকর মামলা
অন্ধকারে সাগর-রুনি, মিতু, ত্বকি হত্যার মতো এক ডজন চাঞ্চল্যকর মামলা। এর মধ্যে কোনটি প্রায় এক দশক আগের। তদন্তেই এতটা সময় কেটে গেছে। এতে একদিকে বিচারপ্রার্থীদের হতাশার পাল্লা ভারি হয়েছে অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে তদন্তকারী সংস্থার সদিচ্ছা নিয়ে। আইনজীবীরা বলছেন, চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো সুরাহা করতে না পরলে আস্থা হারাবেন ভুক্তভোগীরা।
পাশবিকতার শিকার, নৃশংসতার বলি সাগর সারোয়ার- মেহেরুন রুনি, তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী, সোহাগী জাহান তনু, মাহমুদা খানম মিতু এই মুখগুলো এক সময়ের টক অব দ্যা কান্ট্রি। সময়ের স্রোতে পেরিয়েছে বছরের পর বছর। কিন্তু চাঞ্চল্যকর এসব হত্যা মামলা তদন্তের হিমঘরে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি। এ সময়ের মধ্যে ৭ জন তদন্ত কর্মকর্তা বদল হলেও এগোয়নি মামলার তদন্ত কার্যক্রম। উল্টো ৭০ বার সময় নিয়েছেন তারা। বিচারের আশায় বুক বাঁধতে গিয়ে এখন হতাশগ্রস্ত পরিবার।
নিহতের রুনীর ভাই নওশের রোমান বলেন, প্রথম দুই-তিনদিন যা ছিল এখনও তাই আছে।
মেয়ের হত্যার বিচার নিয়ে হতাশ চট্টগ্রামে খুন হওয়া মিতুর পরিবার। সাড়ে চারবছর আগে মিতু খুন হলেও আজো এ মামলায় অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশ। জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর তদন্ত আটকে আছে মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা থাকা না থাকাতেই।
নিহত মিতুর বাবা বলেন, কোন না কোন কিছু গোপন করতে গিয়েই তারা এত দেরী করছে।
সন্তান হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নানা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে নারায়ণগঞ্জের তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা ও কুমিল্লার থিয়েটার কর্মী সোহাগী জাহান তনুর পরিবারকে। ত্বকীর বাবা বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তনুর পরিবার এ বিষয়ে এখন কথা বলতেই চান না।
ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী বলেন, ত্বকীর ঘাতকরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত তাই এই বিচার হচ্ছে না।
আর এজন্য আইনজীবীরা, সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতিকেই দুষছেন।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. আবদুল্লাহ আবু বলেন, পুলিশের সক্ষমতা আছে, তারা যদি আরেকটু আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করে তাহলে আরো তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে।
দেশে উচ্চ ও অধস্তন আদালতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় পৌনে ৩৭ লাখ