বাবু ও আউয়াল অত্যন্ত বিনয়ী রাজনীতিবীদ ছিলেন, স্মরণসভায় সহকর্মীরা
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান অত্যন্ত বিনয়ী রাজনীতিবীদ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছন সাবেক ছাত্রনেতা ও তার দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি পরলোকগত শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পরলোকগত আব্দুল আউয়াল খান’র স্মরণে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায়, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’র ব্যানারে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় সাবেক ছাত্রনেতা ও তার দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মীরা এ মন্তব্য করেন।
বক্তারা বলেন, শফিউল বারী বাবু ও আব্দুল আউয়াল খান দুজনেই খুব সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তারা দুজনেই কখনোই রাজনৈতিক মাঠে অন্যায়ের কাছে আপোষ করেননি। ঢাকা কলেজ থেকে দীর্ঘ সময় তারা একসাথে রাজনীতি করেছেন। সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে তারা অগ্রভাগে অংশগ্রহণ করেন। তারা ছিলেন জাতীয়তাবাদী শক্তির পরীক্ষিত নেতৃত্ব। খুব বড় অসময়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। যা আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাদের এই অকাল মৃত্যুতে আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। তাদের আদর্শ জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতাকর্মীরা যুগ যুগ ধরে অনুসরণ করবে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
এ সময় তাদের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়া যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, বাবুদের স্বপ্ন ছিল সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যেখানে মানুষের সকল প্রকার মৌলিক অধিকার থাকবে। সেই স্বপ্নের জন্য তারা দীর্ঘ সময় আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আজকে বাবুদের আত্মার প্রতি যদি সঠিক সম্মান জানাতে হয় তবে তাদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে তাদের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সভাপতি আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক রিয়াদ মো. ইকবাল এর সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
স্বরনসভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক কাউসার, সহ সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, আবু আফসান ইয়াহিয়া, মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার এনামুল হক, মহানগর উত্তর ছাত্রদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আপেল মাহমুদ প্রমুখ।