জেকেজিকে সহায়তা করেও আসামি নন সাবেক স্বাস্থ্য ডিজি!
যার সহায়তায় জেকেজি কেলেঙ্কারি সেই বিতর্কিত সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদকে আসামি না করায় চার্জশিট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও অভিযোগপত্রে আর্থিক সুবিধার পাওয়ার শর্তে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি জেকেজিকে সব ধরনের সহায়তা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিটটি পরিবর্তন করা না হলে অন্য আসামিরা সুবিধা নেবেন। এদিকে, চার্জশিটের বিষয়ে জানতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে রোববার হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জেকেজির অনিয়মের বিষয়ে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ সব জানে, গ্রেফতার হওয়ার দুদিন আগে সময় সংবাদকে জানান ডা. সাবরিনা। এ কারণে তাকে গ্রেফতারের পর সাবেক ডিজিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এক মাসেরও কম সময়ে তদন্ত শেষে বুধবার আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে,অবৈধ সুবিধা নেয়ার শর্তে সাবেক ডিজি জেকেজিকে সব ধরনের সহায়তা করেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আসামি ও সাক্ষীর জবানবন্দিতে অনেকের নাম এসেছে। তবে প্রতারণায় সহযোগী আসামি করার বিষয়ে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ডিবি যুগ্ম-কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, আর্থিক সুবিধা যতক্ষণ পর্যন্ত না পাবে, ততক্ষণ সে অপরাধ করেছে বলে গণ্য হবে না। উর্ধ্বতন সবার সাথে আলাপ করা হয়েছে। তিনি এ মামলায় আসেন না।
যার সহায়তায় ও জ্ঞাতসারে এই জালিয়াতি তাকে আসামি না করায় প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, এমন হলে মামলা প্রমাণ করা কঠিন হবে।
পিপি অ্যাড. আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ডিফেকটিভ চার্জশিট দিয়ে কোন মামলা প্রমাণ করা যাবে না।
সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. খুরশিদ আলম বলছেন, তাকে আসামি করা না হলে এর সুবিধা নেবে অন্য আসামিরা। তিনি বলেন, যার মদদে অবৈধ কাজগুলো হয়েছে সে আসামি না থাকলে অন্যরা সুযোগ পাবে।
অভিযোগপত্রটি আমলে নেয়ার আগেই এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।