আ.লীগ সরকার দুর্নীতিকে ‘সংরক্ষণ ও প্রোডাকশন’ দিতে চায়: বিএনপি
বিনা অনুমতিতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অভিযান পরিচালনা না করার নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন যে পরিপত্র জারি করেছে সেটিকে ‘দুর্নীতি সংরক্ষণে সরকারের পরিপত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে এক ভয়ঙ্কর দুর্নীতি বিরাজ করছে। দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস হয়ে গেছে। এরমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছে, সরকারি অনুমতি ছাড়া কোনও হসপিটালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনও অভিযান পরিচালনা করতে পারবে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, সরকার দুর্নীতিকে সংরক্ষণ করতে চায়, প্রোডাকশন দিতে চায়।’
বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রামে নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা না করলে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ এবং জেকেজির চেয়ারম্যান ডাক্তার সাবরিনার দুর্নীতি প্রকাশ পেতো না। দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তারা সরকারি দলের লোকজন। তাদের প্রোডাকশন দেয়ার জন্যই এই পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এর ফলে সামনের দিনগুলো স্বাস্থ্য খাতে আরও ভয়ঙ্কর হবে। মানুষ কোনও সেবাই পাবে না।’
বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কিছু নদীর পানি কমতে থাকলেও অনেক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যায় বহু মানুষের ঘরবাড়ি গবাদিপশু ভেসে গেছে। ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। ত্রাণ এবং বন্যা মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে আমি কোথাও তা দেখিনি। বানভাসি মানুষ খাদ্যের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুড়িগ্রামে করোনা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার হয়েছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। যেখানে ঢাকাতে কোনও চিকিৎসা নেই সেখানে কুড়িগ্রামে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পাওয়া কল্পনাও করা যায় না। এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় নরকতুল্য অবস্থা বিরাজ করছে। করোনা মোকাবিলায় কোনও ধরনের প্রতিকারের ব্যবস্থা নেই।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস হওয়ার পরও সরকারের টনক নড়েনি। তারপরও গতকালকে মূলত দুর্নীতির পক্ষে পরিপত্র জারি করেছে। করোনা মোকাবেলায় সরকারের কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা ছিল না। কার্যত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি দেশবাসী তা দেখেছে। চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ রাস্তায় এম্বুলেন্সে মারা গেছে। সরকার মানুষের সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’