বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে পুরুষেরা যা করবেন
বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বেড়েই চলেছে। এর রয়েছে নানা কারণ। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, বেশি বয়সে বিয়ে, মাত্রাতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, শরীরে ফ্যাট, খাওয়া-দাওয়ার অযত্ন ও মানসিক চাপ সন্তান জন্ম দেয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সন্তান না হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীকে দায়ী ভাবা হলেও চিকিৎসাবিজ্ঞান কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে।
বন্ধ্যাত্বের সমস্যার জন্য শুধু নারী নয়, পুরুষরাও সমানভাবে দায়ী। বর্তমান সময়ে পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নারীর তুলনায় পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী পুরুষেরাই।
বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনলেই সমাধান সম্ভব। বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে পুরুষের করণীয় সম্পর্কে জানিয়েছে বোল্ডস্কাই-
ওজন নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত ওজন বন্ধ্যাত্বের একটি বড় কারণ। সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে হলে স্বাভাবিক ওজন এবং নীরোগ শরীর থাকা জরুরি। বেশি বা খুব কম ওজন সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করুন। এই মাত্রাতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি কেবলমাত্র পুরুষদের জন্য নয়, নারীর ক্ষেত্রেও সমস্যা বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে ডায়েট মেনে চলুন এবং শরীরচর্চা করুন।
খাদ্যাভ্যাস
ভুল খাদ্যাভ্যাস বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ। ঠিক সময়ে না খাওয়া, পুষ্টিকর খাবারের বদলে জাঙ্কফুড খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে। তাই বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন ভিটামিন, আয়রন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ সঠিক খাদ্য পাতে রাখুন। মৌসুমী ফল, আমন্ড, শাকসবজি, কুমড়োর বীজ, ডার্ক চকোলেট, আমলকি, রসুন, মধু, ব্রকলি, চেরি, বিট, গাজর, দুধ, দই ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার খান। তেলে ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
শরীরচর্চা
শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরচর্চা প্রয়োজন, তা নয়। শরীরের পুরুষ হরমোনগুলোর অতিরিক্ত ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করবে ব্যায়াম। তাই প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন।
চাপমুক্ত থাকুন
মানসিক চাপ বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা। বর্তমানে এটি মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিজেকে চাপমুক্ত রাখুন। মনকে ভালো রাখতে নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন এবং অবসর সময়ে নিজেকে বিশ্রাম দিন।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুম কিন্তু মোটেও বিলাসিতার বিষয় নয়। বরং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন সাত-আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও। তাই নিয়ম মেনে ঘুমানো খুব জরুরি।