টিকটকে অশালীন ভিডিও বন্ধে নোটিশ
সামাজিক অবক্ষয় রোধে টিকটক ব্যবহারের মাধ্যমে অশালীন ভিডিও বন্ধ ও অশ্লীলতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি (লিগ্যাল) আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জনস্বার্থে বুধবার (৫ আগস্ট) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন।
নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন। নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টিকটক থেকে সব ধরনের অশ্লীল কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা এবং এগুলো তৈরিতে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, বর্তমান অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে মানুষ প্রযুক্তির সব থেকে বেশি যে মাধ্যম ব্যবহার করছে সেটি হলো সামাজিক মাধ্যম। এ মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বয়সী এবং শ্রেণি-পেশার মানুষ উল্লেখযোগ্যভাবে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একাধারে যেমন বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করছে তেমনি দেশ এবং বিদেশের প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে জানতেও পারছে।
আরও বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানুষ নিত্যনতুন আবিষ্কার সম্পর্কে অবগত হচ্ছে এ বিষয়গুলো একদিকে যেমন মানুষের জীবন মানের উন্নতি সাধন করেছে ঠিক তেমনি বিভিন্ন অ্যাপসের সঠিক ব্যবহার না করার কারণে সমাজের একটি বড় অংশ বিশেষত তরুণ প্রজন্ম অনেক ক্ষেত্রে বিপথগামী হচ্ছে। এ থেকে রক্ষার জন্য আমাদের এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
নোটিশের বিষয়ে আইনজীবী আরও বলেন, ইদানিং লক্ষ্য করছি যে সামাজিক মাধ্যমে বহুল ব্যবহৃত একটি অ্যাপস যেটিকে টিকটক নামে অভিহিত করা হয়। এ অ্যাপসটি মূলত একটি কনটেন্ট ক্রিয়েটর অ্যাপস। এ অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন জনসচেতনতা এবং সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ সমৃদ্ধ বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যপক প্রচার করার কথা। কিন্তু আমাদের দেশে বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে দেখা যায় এ অ্যাপসটি ব্যবহারের মাধ্যমে এমন কিছু অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে যাতে কোমলমতি শিশু কিশোর ও যুবক শ্রেণি বিপথগামী এবং নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।
যেহেতু অবাধ তথ্যপ্রবাহের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির টিকটক ব্যবহারকারী অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং যার ফলে শিশু কিশোর, তরুণ এবং যুবক শ্রেণির মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাই টিকটক থেকে সব ধরনের অশ্লীল কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা এবং এগুলো তৈরিতে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে নোটিশ পাঠানো হলো।