জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল খাওয়া করোনা আক্রান্ত নারীদের ‘মৃত্যুঝুঁকি বেশি’
যেসব নারী জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল খান তারা করোনায় সংক্রমিত হলে মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা।
গবেষকেরা বলছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণের এমন পদ্ধতি যারা ব্যবহার করেন তাদের করোনা হলে ব্লাড ক্লট বা রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা বড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সঙ্গে ব্লাড ক্লটের সম্পর্ক আগেই থেকে আছে। কিন্তু সেটির সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যখন নারীরা কভিড-১৯ রোগে পড়েন।
গর্ভনিরোধক বড়িতে ইস্ট্রজেন থাকে, যা ধমনীকে আর সরু করে দেয়।
ডেইলি মেইল এবং দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব নারী গর্ভবতী কিংবা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এইচআরটি) নিচ্ছেন, তাদেরও একই সমস্যা হতে পারে।
ব্লাড ক্লট বা রক্ত জমাটবদ্ধতা তখন ঘটে যখন রক্ত (যা সাধারণত প্রবাহমান তরল) অধিক ঘন ও আঠালো হয়ে যায়। কোনো ইনজুরি-জনিত রক্তক্ষরণ থামাতে রক্ত জমাটবদ্ধতার গুরুত্ব রয়েছে, কিন্তু অকারণ রক্ত জমাটবদ্ধতা ক্ষতিকর। কভিড-১৯ রোগের সঙ্গে এর সম্পর্ক আছে।
জর্জিয়ার এমরি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর এই ব্লাড ক্লটের কারণে মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা করোনাভাইরাস রক্তের হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে আটকে থাকে, এ কারণে অক্সিজেন হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে আটকাতে পারে না। এ জন্যই শ্বাসকষ্ট হয়। আর সে কারণে উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন দিলে উপকার পাওয়া যাচ্ছে।
যাদের থ্যালাসেমিয়া (যা একধরনের রক্তের সমস্যা) রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের প্রোটিন পরিবর্তিত হওয়ার কারণে করোনাভাইরাস হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। তাই যেখানে বহু লোকের এই থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা আছে, সেখানে করোনার সমস্যা কম।