করোনায় মৃত্যুবরণকারী ও কারাবন্দী নেতাদের পাশে বিএনপি
মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ও দলের আটক নেতাদের পরিবারের জন্য ‘ঈদ উপহার’ দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
রবিবার (২ আগস্ট) বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এসব ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এদিন তিনি মীরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান ও বংশালে কারাবন্দি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের বাসায় গিয়ে পরিবারের সাথে দেখা করে এই ঈদ উপহার পৌঁছে দেন।
এরপরই তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত আবদুল আউয়াল খানের আজিমপুরের বাসায়ও যেতে চেয়েছিলেন রিজভী। তবে আউয়াল পরিবারের সদস্যরা দেশে না থাকায় তাদের সাথে টেলিফোনে কথা বলে খোঁজখবর নেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে ‘নানা ফলের ঝুড়ি’ করোনায় মৃত্যুবরণকারী ও আটক নেতাদের পরিবারে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এসময় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন।
ঈদ উপহার পৌঁছে দেয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার আমি পৌঁছিয়ে দিয়েছি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। গতকাল ঈদের দিন সদ্য প্রয়াত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর বাসায় গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নিয়েছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘ইসহাক সরকার আমাদের একজন তরুণ বলিষ্ঠ নেতা। তার বিরুদ্ধে ৩১৩টি মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে। শুধুমাত্র মানসিকভাবে পর্যুদস্ত করার জন্য এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে আন্দোলন সেই আন্দোলনে যাতে তারুণ্যের শক্তির উপস্থিতি না ঘটে সেজন্য ইসহাক সরকারকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’
এসময় করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা এবং বিদ্যুতের ‘ভুতড়ে’ বিলে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী।