পবিত্র ঈদ উল আযহার দিনে মানুষে মানুষে প্রীতি ও বন্ধনের যোগসূত্র আরও সুদৃঢ় হোক
ঈদ মানে খুশি,। ঈদ মানে আনন্দ,। আনন্দময় উৎসব “ঈদ উল আযহা” ঈদ উল আযহা মহান আল্লাহ তায়ালার এক পবিত্র উপহার,। খুশির বার্তা নিয়ে আসে এই ঈদ,।
এই পবিত্র ঈদ উল আযহা একদিকে আমাদেরকে হিংসা, বিদ্বেষ, লোভ, লালসা, পাপ-পঙ্কিলতা পরিত্যাগ করার শিক্ষা দেয়,। অন্যদিকে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী সার্বিক জীবন পরিচালিত করে জুলুম, শোষন, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত একটি আদর্শ সমাজ গঠনে আত্মনিয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করে,। এবং ঈদ উল -আযহার পবিত্রতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ অতীতের সকল দু:খ কষ্ট ও গ্লানি কাটিয়ে সুন্দরকে গ্রহন ও প্রসার করার সুযোগ পায়,। তারই সাথে আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত পবিত্র ঈদ-উল-আযহা,।
এই মহিমান্বিত পবিত্র দিনে আমরা কোরবানীর মাধ্যমে তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন এবং মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে সকলের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করে থাকি,। পবিত্র আল কোরআনের সুরা হজ্ব এর ৩৭নং আয়াতে বলা হয়েছে- ‘‘আল্লাহতায়ালার দরবারে কোরবানীর পশুর মাংস কিংবা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না, বরং তোমাদের তাকওয়া তাঁর কাছে পৌঁছায়,। এভাবেই তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে পারো-এজন্য যে তিনি তোমাদের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন,। আর সুসংবাদ দাও সৎকর্মপরায়ণদের,।’’
পবিত্র ঈদ-উল-আযহার এ আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক বাংলার প্রতিটি গ্রাম, জেলা তথা এ দেশের সকল নাগরিকের জীবন,। পবিত্র এ দিনে মানুষে মানুষে প্রীতি ও বন্ধনের যোগসূত্র আরও সুদৃঢ় হোক,। অনন্য এ দিনে আসুন সবাই মিলে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে সুস্থ ও সুন্দর থাকি,। এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশগড়ার প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আসুন আমরা গ্রহণ করি সুন্দর শপথ,।
উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপনের প্রত্যাশায় জেল, জুলুম, নির্যাতিত, নিপীড়িত, জাতীয়তাবাদী ভাইবোন সহ সকল দেশপ্রেমিক ও দেশবাসীকে আমার পক্ষ থেকে ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, সেইসাথে দেশ ও সকল মুসলিম উম্মার সুখ সমৃদ্ধি ও প্রশান্তি কামনায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থণা করি,।
সকলকে আবারো জানাচ্ছি পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা,।
“ঈদ মোবারক”,।
-ডালিয়া লাকুরিয়া