গাংনীতে যুবলীগ নেতার বাড়ি থেকে ২শ গাঁজা গাছ উদ্ধার
মেহেরপুর পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮ টায় গাঁজা গাছ কাটা শুরু করে।
গাঁজার বাগান আবিষ্কার ও উদ্ধারের সময় বাড়ির মালিক দুলাল হোসেন পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী শেফালি খাতুন (৩৬), ছেলে শাকিল আহমেদ ও মেয়ে শিউলী খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
এসময় পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, এএসপি সার্কেল শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, গাংনী থানার তদন্ত অফিসার সাজেদুর রহমানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার মুরাদ আলী জানান, মটমুড়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে দুলাল হোসেন বাড়ি সংলগ্ন প্রায় এক বিঘা জমিতে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে গাঁজা চাষ করছিলেন। যেখানে প্রায় ২ শত গাঁজ রয়েছে। গাছগুলো বর্তমানে ১৩ থেকে ১৪ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। গাঁজার বাগান আবিষ্কার হওয়ায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত পুলিশ তা পাহারা দিয়ে রাখে। সকাল ৮ টার দিকে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গাছ কাটা শুরু হয়।
মটমুড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রশিদুল ইসলাম জানান, দুলাল হোসেন মটমুড়া গ্রাম আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মটমুড়া মরানদীতে মাছ চাষের পাশাপাশি গরু পালন করে আসছেন।
পুলিশ সুপার মুরাদ আলী বলেন, গাঁজা চাষী দুলাল হোসেন পলাতক থাকায় আপাতত তার স্ত্রী শেফালি খাতুন, ছেলে শাকিল আহমেদ ও মেয়ে শিউলী খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে