ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাদকসহ গ্রেপ্তার

0

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ও তার সহযোগী এনাম হক (৩০) কে মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছেন সরাইল থানার এ এস আই মো. আলাউদ্দিন। পুলিশের হাত থেকে ছুটে যেতে প্রথমে গালমন্দ ও পরে কিল ঘুষি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরূদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্রাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়ে মাসুমকে থানায় নিয়ে আসেন।

মূহুর্তের মধ্যে থানার ভেতরে ও বাহিরে মাসুমের শতাধিক সমর্থক অবস্থান নেন। ছবি ওঠানোর জন্য থানার ডিএসবিকে প্রকাশ্যে গালমন্দ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মাসুমের ছোট ভাই নাঈম বিল্লাহ’র বিরূদ্ধে। বিকাল ৪টায় গ্রেপ্তার করলেও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মাসুমের বিষয়ে মুখ খুলেননি সরাইল থানা পুলিশ। সন্ধ্যা ৭টার পর জানিয়েছেন মামলা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানায়, মাদকের নিয়মিত অভিযানে পোশাকের উপর পাঞ্জাবী পড়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মহাসড়কের কুট্রাপাড়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই মো. আলাউদ্দিন। সন্দেহ হলে আরোহীসহ দুইজনের একটি কাল রং-এর মটরবাইককে দাঁড়াতে সিগনাল দেন। মটরবাইকের চালক মাসুম বিল্লাহ নিজের পরিচয় দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আলাউদ্দিন তাতে বাধা দেন। দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরূ হয়। এক পর্যায়ে মাসুম বিল্লাহর দেহ তল্লাশি করে ফেন্সিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। মাদক বহনের দায়ে গ্রেপ্তার করতে চাইলে পুলিশকে কিলঘুষি মারতে থাকে মাসুম।

এ সময় ঘটনাস্থলে শতাধিক লোক জড়ো হয়। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হোসেন গিয়ে মাসুমকে থানায় নিয়ে আসেন। মূহুর্তের মধ্যে থানায় হাজির হন সরাইল উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মো. হাসান ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মী ও সমর্থকরা। থানার বাহিরে ভেতরে মটরবাইক সহ শতাধিক সমর্থক অবস্থান নেয়। বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে থানায় গিয়ে দেখা যায় ওসি’র কক্ষে বসে কথা বলছেন মাসুম। কিছুক্ষণ পর মাসুমকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিয়ে যান পুলিশ পরিদর্শকের কক্ষে। সেখান থেকে তড়িৎ তাকে নিয়ে যান এসআইদের বসার কক্ষে।

বিকাল ৫টার দিকে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বহন করে একটি গাড়ি থানার ভেতরে প্রবেশ করে। এএসআই মো. আলাউদ্দিন বলেন, মাসুমের মটরবাইককে সিগনাল দেওয়া মাত্র আমাকে গালমন্দ শুরূ করে। আটকের পর তার দেহ থেকে ৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করি। আমার কাছ থেকে ছুটে যেতে আমাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন মাসুম। পরে ওসি স্যারের সহায়তায় তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশের হেফাজতে থাকা মাসুম বিল্লাহ নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, আমি পুলিশকে মারধর করিনি। তবে একটু বার্গেনিক হয়েছে। সরাইল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান বলেন, মাদক দ্রব্য বহন ও পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মাসুম বিল্লাহর বিরূদ্ধে সরাইল থানায় মামলা হয়েছে। এর আগেও তার বিরূদ্ধে সদর মডেল থানায় ২টা ও বিজয়নগর থানায় ১টি মোট ৩টি মামলা রয়েছে। তার ব্যবহৃত মটরবাইকটি জব্দ করা হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com