গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন তারেক রহমান
স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় আরোহণ করে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথে প্রথম বারের মতো এক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সদ্য স্বাধীন দেশে গণমানুষের অধিকার হরণের এটা ছিলো এক কলঙ্কিত নজির। স্বাধিকার আর মুক্তির লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য আবারো গণতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র রাজনীতি চর্চার পথ। একনায়ক আর স্বৈরাচারী দলীয় শাসনের বিপরীতে দেশে জনগণের গণতন্ত্র চর্চাকে অবারিত করার অংশ হিসেবে নিজে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
একবিংশ শতাব্দীতে এসে আবারো হোঁচট খেয়েছে গণতন্ত্র। মানুষের নেই মতপ্রকাশ, ভোটাধিকার আর গণতন্ত্র চর্চার অবারিত সুযোগ। জালিয়াতি আর প্রহসনের ভোটের পর মানুষ আর এখন দীর্ঘ লাইনে ভোটের জন্য দাঁড়ায় না। বাস্তবতা হলো মেকি গণতন্ত্র আর মেদুল উন্নয়নের ঢোল পিটিয়ে আবারো মানুষের গণতন্ত্র হরণ করেছে আওয়ামী লীগ। জেল-জুলুম, গুম আর হাজারো হুলিয়া মাথায় নিয়ে নানান চড়াই আর উতরাইয়ের মধ্যেও দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।
শহীদ জিয়াউর রহমানে পর তার রেখে যাওয়া কাজ বাস্তবায়নে প্রাণ উজাড় করে নিজেকে গণতন্ত্রের সংগ্রামে নিবেদিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনসহ জাতির অধিকার আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে অনড় থেকে আপোষহীন দেশনেত্রী খেতাবে নিজেকে ভূষিত করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। আর সেজন্য বরাবরই পড়েছেন শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে। কি সহ্য করতে হয়নি তাকে? নিজের বাসা থেকে উচ্ছেদ, দুই পুত্রসহ কারাবাস আর সর্বশেষ সাজানো মামলায় দুই বছরের মতো কারা নির্যাতন। এ কারাবাসে শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে খালেদা জিয়ার।
স্বাধীনতার ঘোষক পিতার আদর্শ, আপোষহীন নেত্রীর অভিভাবকত্বে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার সে লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান নেয়া তারেক রহমান। গণতন্ত্রের এ সংকটে দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত গণতন্ত্রকে বিস্তৃত আর বিকশিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।