খুলনায় বন্দুকযুদ্ধে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা নিহত
খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামাল (৫২) র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলাধীন খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বাবুরবাড়ি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
রামপাল থানা পুলিশ উপজেলা হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মিনা কামাল রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং যুবলীগের নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৯টি হত্যাসহ ২৫টির বেশি মামলা রয়েছে।
খুলনাস্থ র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল ফিরোজ জানান, মাদক বিক্রেতাদের সাথে গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বাবুর বাড়ি এলাকায় গেলে তারা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার জন্য র্যাব সদস্যরাও গুলি চালায়। একপর্যায়ে মাদক কারবারিরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে আহত অবস্থায় মিনা কামালকে পাওয়া যায়। তাকে রামপালের ঝনঝনিয়া হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে একটি বিদেশি পিস্তল, ৫০০ পিস ইয়াবা, একটি চাকু ও নগদ ৬৭ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামাল খুলনার রূপসা উপজেলার এক সন্ত্রাসী। জেলা পুলিশের শীর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর তালিকায় তার নাম রয়েছে। কয়েকটি হত্যাসহ ২৫টির বেশি মামলা, শতাধিক জিডি রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বাড়িতে বিচারালয়ের নামে বসিয়েছিলেন টর্চার সেল। সেখানে বিচার-সালিসের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে চালানো হতো বর্বর নির্যাতন। এসব অপকর্মে তাকে সহায়তা করতে আছে ২০ জনের সশস্ত্র বাহিনী।
মিনা কামাল ও তার বাহিনীর হাতে গত ১০ বছরে দুই শতাধিক মানুষ নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। খুন হয়েছেন ৯ জন। পঙ্গু হয়েছেন ১০জন। আতঙ্কে পরিবার নিয়ে কয়েক শ’ পরিবার অন্যত্র পালিয়ে গেছে ।
মিনা কামাল দখল, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক বাণিজ্য করে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছিলেন বলে শোনা যায়।