গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আওয়ামী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোর্ট ইউনিয়ন পরিষদ আওয়ামী (ইউপি) চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক নির্যাতিতা নারী। বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। পরে বিজ্ঞ বিচারক বাদীর জবানবন্দি শুনে মামলাটি পরবর্তী আদেশের জন্য রাখেন।
অপর দিকে একই দিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (রামগঞ্জ) আমলী আদালতে মো. বেলায়েত হোসেন রিপন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে। পরে বিচারক এ মামলাটি গ্রহণ করে ডিবির ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে ওই চেয়ারম্যানের ইয়াবা সেবন ও এক নারীর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপের কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
চেয়ারম্যানের হাতে নির্যাতিত ওই গৃহপরিচারিকা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মানিকের বাসায় তার মা জিয়ের কাজ করতেন। হঠাৎ তার মা অসুস্থ হলে তাদের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতে যায় সে। চলতি বছরের ২২ মার্চ বিকালে চেয়ারম্যান জোরপূর্বক বাসার দোতলায় নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও চেয়ারম্যান তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
পরে কাউকে ঘটনাটি বললে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা নারী।
অপর মামলার বাদী মো. বেলায়েত হোসেন রিপন জানান, চেয়ারম্যান বশির আহমদের নিকট বাকীতে বিভিন্ন সময় মালামাল বিক্রি করেছেন তিনি। দোকানের পাওনা টাকা চাইলে তাদের ওপর হামলা চালায় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এ সময় দোকানের টাকা ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। এখন চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
উভয় মামলায় বাদীর আইনজীবী এডভোকেট মো. শাহ আলম জানান, গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটির বাদীর জবানবন্দি শুনে আদেশের জন্য রাখেন। চেয়ারম্যানের বাসায় দীর্ঘদিন মা ও মেয়ে কাজ করতেন। এ সুবাধে গৃহপরিচারিকাকে একা পেয়ে একাধিকবার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে জানান মামলার আইনজীবী শাহ আলম। অপর দিকে অর্থ আত্মসাৎ, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে অন্য আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমদ মানিক বলেন, ‘তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। পুরো ঘটনাটি সাজানো নাটক।’