আ’লীগ নেতাকে রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে চেয়ারম্যান

বরিশাল বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি গ্রামে রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে আ’লীগের নেতা কে রড দিয়ে পিটিয়ে বাম পা ভেঙ্গে দিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা।
বুধবার ২২ জুলাই সকাল দশটায় বিশারকান্দি ইউনিয়ন এর মরিচবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতের নাম প্রদীপ সরকার। (খ্রিস্টান সম্প্রদায়) সে ওই এলাকার অমিও সরকারের ছেলে এবং বিশারকান্দি ইউনিয়ন আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে রয়েছেন।
বর্তমানে প্রদীপ গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলাকারীদের আঘাতে প্রদীপের বাম পায়ের হাঁটুর গোড়ালি ভেঙ্গে গেছে।
শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে প্রদীপের অপারেশন করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থোপেডিক্স বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আহত প্রদীপ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিশারকান্দি ইউনিয়ন এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রদীপ সরকারের সাথে একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের রাজনৈতিক কোন্দল চলে আসছে। ওমর ফারুক নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রদীপ কি দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করলে প্রদীপ তা প্রত্যাখ্যান করেন। যে কারণে ওমর ফারুক ও তার সহযোগীরা প্রদীপকে বিভিন্ন ভয়ভীতি সব প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
বিষয়টি নিয়ে প্রদীপ এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ওমর ফারুক ও তার সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
এরই জের ধরে ঘটনার দিন বুধবার সকাল দশটায় প্রদীপ বিশারকান্দি বাজার শেষ করে সকাল দশটায় বাড়িতে আসার পথে মরিচবুনিয়া এলাকায় প্রদীপকে পত্র করেন সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও তার সহযোগীরা।

একপর্যায়ে ওমর ফারুক ও তার ভাতিজা সোহেল, এবং তাদের সহযোগী ইউনুস টুটুলসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে প্রদীপ কে হত্যার চেষ্টা হামলা চালায়। এসময় ওমর ফারুক তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে প্রদীপের হাঁটুর গোড়ালিতে পিটিয়ে জখম করে। পর্যায় ক্রমে সোহেল, ইউনুস, টুটুল ও প্রদীপ এর উপর হামলা করে।

এতে প্রদীপের বাম পায়ের হাঁটুর গোড়ালি মারাত্মক ভাবে ভেঙ্গে যায়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বানারীপাড়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহতের স্বজনরা জানান, সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক একজন সর্বহারা লিডার। এলাকায় সাধারণ মানুষের উপর হামলা মামলা করাই তার কাজ। কিছুদিন পূর্বে সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বড় ভাই হায়দার আলী ও তার ভাতিজা সোহেল হালিমা কোন নামে একজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

বিশারকান্দি এলাকায় ওমর ফারুক ও তার বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আছে।
এ বিষয়ে বিশারকান্দি ইউনিয়ন এর বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও তার ভাতিজা সোহেল সহ তাদের সহযোগীরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রদীপ সরকারকে পিটিয়ে বাম পা ভেঙ্গে দেয়ার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি।

প্রদীপের পরিবার থেকে হামলাকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে প্রদীপের স্বজনরা জানান