জরায়ু টিউমার ও গর্ভধারণের জটিলতায় করণীয়

0

ফাইব্রয়েড টিউমার জরায়ুর একটি অতিপরিচিত টিউমার। বেশিরভাগ নারী এ সমস্যায় ভোগেন ও তাদের গর্ভধারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

এই টিউমার সাধারণত তিন ধরনের

এই টিউমার সাধারণত তিন ধরনের হয় থাকে। সাব সেরাস, ইন্ট্রা মুরাল এবং সাব মিউকাস। এর মধ্যে সাব মিউকাস টিউমারই অধিক জটিলতার কারণ হয়ে থাকে। গর্ভধারণের আগেই যদি এই টিউমার ধরা পড়ে, তবে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ফাইব্রয়েড টিউমারের লক্ষণ

এই টিউমার হলে আপনার শরীরে কিছু লক্ষণ অবশ্যই দেখা দেবে। এগুলো হলো– মাসিকের সময় অধিক রক্তপাত ও ব্যথা হতে পারে।

তবে এই টিউমার কোনো ধরনের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও থাকতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কোনো সমস্যা নিয়ে আল্ট্রাসাউন্ড করতে গেলে এ সমস্যা ধরা পড়ে।

যেসব জটিলতা হতে পারে–

জরায়ুতে টিউমার থাকাবস্থায় গর্ভধারণ করতে পারেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই টিউমারে মা ও শিশুর বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করতে পারে।

১. সাব মিউকাস হলে জটিলতা হতে পারে। কারণ সাব মিউকাস টিউমার জরায়ুর ভেতরে অবস্থিত হওয়ায় ভ্রূণ ও প্লাসেন্টার স্থাপনকে বাধাগ্রস্ত করে।

২. গর্ভধারণের কারণে জটিলতা হতে পারে। জরায়ুতে এই টিউমার থাকলে জরায়ু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিউমারের আকার ও সাইজ পরিবর্তন হতে পারে। অনেক সময় টিউমারের মধ্যে রক্তক্ষরণ ও পানি জমে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।

৩. শিশুর ওজন কমে যাওয়া, প্লাসেন্টা প্রিভিয়া (গর্ভফুল নিচের দিকে থাকা), সময়ের আগে ডেলিভারি হওয়ার জটিলতা দেখা দিতে পারে।

৪. ফাইব্রয়েডের কারণে নরমাল ডেলিভারির পথ বাধাগ্রস্ত হয় এবং সিজারের প্রয়োজন হতে পারে।

টিউমার অপসারণ

জরায়ুর বাইরের দিকের টিউমার(সাব সেরাস টিউমার) ফেলে দেয়া গেলেও অন্যান্য টিউমার অপসারণ করা যায় সম্ভব হয় না। কারণ এ সময় অধিক রক্তপাতের আশঙ্কা থাকে। ডেলিভারির পর অনেক টিউমার আকারে ছোট হয়ে যায় এবং পরে কোনো অপারেশন করার প্রয়োজন হয় না।

কী করবেন

গর্ভাবস্থায় টিউমারের জটিলতা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


লেখক: অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট (অবস-গাইনি) ইম্পেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড, চট্টগ্রাম

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com