ব্যাক্তিজীবনেও বহুমুখী প্রতারক সাহেদের ৩ স্ত্রীর নতুন কেচ্ছা ফাঁ’স!

0

করোনা টেস্টের রিপোর্ট জালিয়াতির হোতা মো. সাহেদ ব্যক্তি জীবনেও বহুরূপী প্রতারক। এতদিন সাদিয়া আরাবী নামে তার একজন স্ত্রীর কথা জানা গেলেও এবার ফাঁস হয়েছে তার আরও ২ স্ত্রীর পরিচয়। সাহেদের সহকর্মীরা বলছেন, সাহেদের তিনজন স্ত্রীকে তারা দেখেছেন। একাধিক স্ত্রী থাকলেও পরস্পরের কাছে বিষয়টি এত দিন গোপন রেখেছিলেন সাহেদ।*

*সাহেদের সহকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, লিজা ও মার্জিয়া নামে দুজন সাহেদের অফিসে কাজ করেন। এদের একজনকে তিনি বিয়ে করেছেন। এছাড়াও সাদিয়া ও হিরা মণি নামে দুই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সাহেদের। পাসওয়ার্ড দেওয়া প্রাইভেট রুমে তাদেরই প্রবেশাধিকার ছিল।*

*সাহেদের সাবেক এক নারী কর্মী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি তো সাহেদের তিনটি বউ দেখছি। তাদের একজন প্রিয়তির আম্মু (সাদিয়া আরাবী), যে বনানীতে থাকে। নাজিয়ার আম্মুকেও তো কিছুদিন আগে কক্সবাজার থেকে আটক করছে। আরেকজনের নাম চৈতি, সে-ই তার অরজিনাল বউ জানতাম। তার যে আর কোনো বউ আছে তা জানতাম না। পরে বাকিদের ব্যাপারে জানি।’*

*তিনি আরো বলেন, ‘মার্জিয়া নামের একজনকে শুধু শুধুই বেতনের নামে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা দিতে হতো। স্যার তাকে বিয়ে করছে; কিন্তু অন্যদের সামনে হয়তো সেটা দেখাচ্ছে না। লিজা ম্যাডামও মনে হয় তার বিবাহিত ছিল। অনেক খবরদারি করত। মার্জিয়াকে নিয়ে একবার অনেক ঝগড়া হয়েছিল।’*

*জানা গেছে, কাজ হাসিল করতে সুন্দরী পাঁচ বান্ধবীকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতেন সাহেদ। আর্থিক জালিয়াতির জন্য বহুরূপী সাহেদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাক্ষর। লেনদেনের ক্ষেত্রেও তিনি ভিন্ন স্বাক্ষর ব্যবহার করতেন। একেকটি লেনদেন দেখার দায়িত্বে ছিলেন একেকজন সহযোগী।*

*প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসায় প্রতারণার আলামত পাওয়া যায়। এরপর মিরপুরের শাখায় ধারাবাহিক অভিযান চালানো হয়। এতে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের একের পর এক অপকর্মের তথ্য বেরিয়ে আসে।*

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com