গর্ভাবস্থায় ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মায়ের খাবার ও স্বাস্থ্যের প্রতি নিতে হবে বাড়তি যত্ন। এই সময় মায়ের শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ও খনিজ প্রয়োজন হয়। আর পুষ্টির অভাব থাকলে তা ভ্রূণের বিকাশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এ সময় মায়েদের জন্য ছোলা খাওয়া খুবই উপকারী।
স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার ছোলা গর্ভাবস্থায় ডায়েটে রাখা প্রয়োজন। এতে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট এবং ফোলেট জাতীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এসব উচ্চ পুষ্টিগুণের কারণে গর্ভবতী মায়ের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার।
ছোলার স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. ছোলা গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। এ সময় অনেক মা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। গর্ভাবস্থায় শিশুর অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে দ্বিগুণ আয়রনের প্রয়োজন হয়। ছোলা হিমোগ্লোবিনের সঠিক মাত্রা বজায় রেখে শিশুর জন্মের ঝুঁকিও কমায়।
২. গর্ভাবস্থায় যদি মায়ের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি না হয়, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। রক্তে শর্করার সঠিকভাবে না থাকলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব ফেলে। গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে খাদ্যতালিকায় ছোলা রাখুন।
৩. ছোলা ফোলেটের একটি ভালো উৎস ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যা রক্ত কণিকা তৈরি করতে এবং শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি ভ্রূণের নিউরাল টিউব সমস্যার ঝুঁকিও কমায়।
৪. ছোলা ফাইবারের ভালো উৎস, যা মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
৫. ছোলার প্রোটিন ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় যখন ছোলা খাবেন না-
১. ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মা ছোলা খাবেন না।
২. যদি ছোলা থেকে অ্যালার্জি হয় তবে ছোলা খাবেন না।
৩. গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ছোলা খেলে যদি পেট খারাপ হয়, তবে খাবেন না।
তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই