এক সময় ভারতে জেল খাটেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ, চালানো হয় নির্যাতন!
চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন কলকাতার সন্তান অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি, তার স্ত্রী এস্তার দুফলো এবং মাইকেল ক্রেমার। দ্যা রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বৈশ্বিক দারিদ্র বিমোচনে তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষার দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে। বৈশ্বিক দারিদ্র্য লাঘবে অবদান রাখায় এ পদক জিতেন।
কিন্তু জানেন কি এক সময়ে টানা ১০ দিন তিহার জেলে ছিলেন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সময়ে পড়তেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ। সাল ১৯৮৩। ছাত্র সংগঠনের সভাপতিকে বরখাস্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা উপাচার্যকে ঘেরাও করেছিলেন। ফলস্বরূপ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।
২০১৬ সালে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন অভিজিৎ। তিনি জানান, টানা ১০ দিন তাদের উপরে পুলিশের অত্যাচার চলে তিহার জেলে। গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেক পড়ুয়াকেই মারধর করা হয়েছিল।
অভিজিত বলেন, আমাদের মারধর করা হয়েছিল। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত সেই চার্জ উঠে যাওয়ার ফলে আমাদের ১০ দিনের বেশি থাকতে হয়নি।
সেই সময়ে কেন্দ্রে কংগ্রেস ছিল ক্ষমতায়। অভিজিৎ কথায়, ওরা বলত, আমরা বস। চুপ করে থাকো। ভদ্রভাবে থাকো। সরকার সেই সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইত বলে জানিয়েছিলেন নোবেলজয়ী।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়াশোনা অভিজিতের। প্রেসিডেন্সি থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন, জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছিলেন তিনি। পরে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন নোবেলজয়ী এ বাঙালি।