৪ মাসেও পাপুল দম্পতির হলফনামা পায়নি দুদক!
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের নির্বাচনি হলফনামা দীর্ঘ ৪ মাসেও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া, তার স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের হলফনামাও ইসি থেকে দুদক পায়নি।
জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ দুদক পাপুল ও সেলিনা ইসলামের নির্বাচনে ব্যয় হওয়া অর্থের সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী, সম্পদ-দায়, বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের বিবরণী, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ প্রার্থীদের দাখিল করা অন্যান্য নথি চেয়ে ইসি সচিবকে চিঠি দেয়।
এরপর গত ১৮ জুন আবারও ইসি সচিবের কাছে পাপুল দম্পতির নির্বাচনি হলফনামা চেয়ে তাগিদপত্র দেয় দুদক।কিন্তু এরপরও দুদকে তাদের তথ্য দেয়নি ইসি।
দুদকের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ অর্জন করে বিদেশে পাচারসহ শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অভিযোগটি অনুসন্ধানের স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে নথিপত্র চেয়ে দুদক থেকে অনুরোধ করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমপি পাপুলের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। এই অবস্থায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেবেন। যা অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়ের রুটিন কাজ। তবে, ইসির নথিপত্রের বিষয়ে আমার জানা নেই।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ জুন কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেপ্তার করে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় পাপুল ও তার কুয়েতি প্রতিষ্ঠান ‘মারাফি কুয়েতিয়া’র অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা) জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর পাপুলের জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।