সরকারের দেয়া টাকা না পেয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রীকে বিবস্ত্র করে বেদম পেটালো এলাকাবাসী!
সরকার ঘোষিত ২৫০০ টাকা না পেয়ে ফেনীর সদর উপজেলার পাঁছগাছিয়া ইউপি সদস্য ও সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শিরিন আখতারের ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ফেনী মডেল থানায় মা’মলা দায়ের করেন ইউপি সদস্য শিরিন আখতার।
আহত ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারের নিন্মবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্তদের জন্য ২৫০০ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী নারী ইউপি মেম্বার তার ৬নং ওয়ার্ডে ১০০ জনের জন্য অনুমতি পান।
ওই ওয়ার্ডের মো. মিজান নামে এক ব্যক্তি বরাদ্দের টাকার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, নারী মেম্বার সবার কাছে জমা দেয়ায় যাচাই-বাছাই এবং তার মোবাইল ও আইডি নাম্বার ঠিক না থাকায় মিজানের নাম বরাদ্দকৃতদের তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ে যায়।
এতে বুধবার দুপুরে মিজানের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ইউপি সদস্য শিরিন আখতারের ওপর মিজানের ভাগিনা এবং ভাতিজারা হামলা করে। হামলাকারীরা শিরিনকে বিবস্ত্র করে এবং তার ভাইকে মা’রধর করে। এ ঘটনায় মিজান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে শিরিন আখতার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ফেনী মডেল থানায় মা’মলা দায়ের করেছেন।
শিরিন আখতার জানান, সরকারি বরাদ্দের টাকার আইডি কার্ড ও মোবাইল নাম্বার ঠিক না থানায় এবং একাধিক জায়গায় মিজানের আইডি কার্ডটি দেয়ায় যাচাই-বাছাইয়ে তার নামটি বাদ পড়ে। এতে সে এবং তার পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে দল বেঁধে তার ওপর হামলা চালায়। এতে আমাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে এবং আমার ভাইয়ের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন, একাধিক জায়গায় মিজান তার নাম দেয়ায় ও তার আইডি নাম্বারের কারণে যাচাই-বাছাইয়ে মিজানের নামটি বাদ পড়ে। এতে ইউপি সদস্য শিরিনের ওপর তারা যে অন্যা’য় করেছে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনাটি নিয়ে ফেনী মডেল থানায় মা’মলা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।