চিকিৎসা সেবার নামে শাহেদের নারী সিন্ডিকেটে ছিল উচ্চপদস্থ লোকদের আনাগোনা
চিকিৎসা বানিজ্য, জাল-জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াই শুধু নয়, নারী সিন্ডিকেট সদস্যদের দিয়ে রীতিমত ব্ল্যাকমেইল করতো রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ। সুন্দরী নার্স এবং ডাক্তারদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। আর এজন্য হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষকে বানানো হয়েছিলো রঙ্গশালা। সেখানে সমাজের উচ্চপর্যায়ের অনেক লোকের যাতায়াত ছিলো। অনেককে এনে ব্ল্যাকমেইল করা হতো। এসব আলামত তথ্য উপাত্ত হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছে র্যাব।
জানা যায় হাসপাতাল এবং অফিসে বেছে বেছে সুন্দরীদের চাকরি দিতো সাহেদ। পরেই শুরু হতো তার মিশন। চিকিৎসায় হোম সার্ভিসের নামে ধনাঢ্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী এমনকি প্রভাবশালী কর্তাদের টার্গেট করতো সে। পরে সুযোগমত ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা হতো মোটা অংকের অর্থ। বিশেষ করে পাওনাদারদের বেকায়দায় ফেলতে ব্যবহার করা হতো বাছাই করা সুন্দরীদের।
হাসপাতাল এবং অফিসে অভিযান চালিয়ে দেখা যায় সেখানকার বিশেষ বিশেষ কক্ষে আলিশান খাটপালং ছিলো। চিকিৎসা সেবার নামে সেখানে উঠতি বয়সী কথিত নার্স ও ডাক্তারদের মাধ্যমে অনৈতিক কাজ করানোর অভিযোগ আছে সাহেদের বিরুদ্ধে। এমনকি সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো অনেক প্রভাবশালী, তাদেরও খোজ করছে র্যাব।