বরকত-রুবেলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও পাচারের দায়ে কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করেছে সিআইডি। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে বরকত-রুবেল ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ের চাঁন খন্দকারের চা-পান আনা নেয়া করতো। ওই বছর শহর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এড. মহিউদ্দিন খোকনকে হত্যার দায়ে তাদের নামে মামলা হয়। এরপর তারা ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড ও ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের গুন্ডাবাহিনী দ্বারা ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি ও মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে। এ সময় তাদের কোন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ২০০৮ সালে এই সহোদর এলজিইডি, বিআরটিএ, রোডস এন্ড হাইওয়ে, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, পাসপোর্ট, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অফিস সহ বিভিন্ন অফিস নিয়ন্ত্রন করে টেন্ডারবাজি করে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে শ’ শ’ কোটি টাকা। এসময় তারা সাউথ লাইন পরিবহন নামে এসি/নন এসি ২৩টি বাস, ট্রাক/ড্রাম ট্রাক, লেক্সাস, হেরিয়ার, বিএমডাব্লিউ, বহুতল ভবন, আবাসিক হোটেল, ডেইরি ফার্ম, পাথর ক্রাসিং, পেট্্েরাল পাম্প, ইটভাটা, অ্যাপার্টম্যান্ট, বাগানবাড়িসহ নানা সম্পত্তির মালিক হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংকে রয়েছে অঢেল টাকা। সিআইডি আনুসন্ধানে জানতে পেরেছে- তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের পরিমাণ দুই হাজার কোটি টাকা।
ফলে সিআইডির ঢাকা মেট্টো পশ্চিম বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ কাফরুল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সুবল সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় গত ৭ই জুন রাতে বরকত-রুবেলকে তাদের নিজ চেম্বার থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাদের দুজনকেই ১৭ দিন রিমান্ডে নেয়া হয়। এদিকে শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম চৌধুরী এবং জনৈক লস্কর দুলালের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে রোববার আরো দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সিআইডির অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বলেন, কোন অপরাধীই আইনের বাইরে থাকতে পারে না। রুবেল-বরকত তার বাইরে নয়। তাদের ব্যাপারে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা হয়েছে। এখন আমরা দ্রুত শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে ঢাকায় আনবো এবং প্রাথমিকভাবে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্যবস্থা নেব।