তারেক রহমান এর নির্দেশ এবং রহিমউদ্দিন এর সহযোগিতায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই বিতরণ

0

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর নির্দেশে ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি মোঃ রহিম উদ্দিন এর পৃষ্ঠপোষকতায় – হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে পিপিই – প্রদান করা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডাঃ আহমুদুর রহমান আবদাল। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোঃ কামাল উদ্দিন সেলিম। হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি হাসবী সাঈদ চৌধুরী।হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক আহমেদ। ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ সালাউদ্দিন টিটু। হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী রাজা উজ্জল।

এসময় উপস্থিত থাকা নেতৃবৃন্দদেরকে ভার্চুয়াল যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন বলেন, দুঃখজনক যে, সম্মুখ যুদ্ধে আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজ হাসপাতালেই চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিশাল জনবল ও অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও সরকার হাসপাতালগুলোকে কাজে লাগাতে পারছে না। এতে করোনা পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারি সামাল দিতে সরকার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। অনিশ্চিত স্বাস্থ্য ঝুঁকিও যে অর্থনীতিতে হুমকি সৃষ্টি করতে পারে সরকার তাও বিবেচনায় নিচ্ছে না। সরকার মানুষের মৃত্যুকে পরিসংখ্যানের তথ্য-উপাত্ত হিসেবে দেখছে। উন্নত বিশ্বের তুলনায় মৃত্যু সংখ্যা কম বলে সরকার আত্মতুষ্টিতে ভুগছে, যা সরকারের নিতান্তই এক নির্মম মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

দেশে আক্রান্তের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না দাবি করে রহিম উদ্দিন বলেন, মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। প্রয়োজনীয় মাত্রায় পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় সংক্রমণের নানা উপসর্গ নিয়েই হাজার হাজার মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সামাজিক সংক্রমণ জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে। জীবন সুরক্ষার চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কিছু হতে পারে না। মৃত্যুর দীর্ঘ সড়কে দাঁড়িয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, অতিদ্রুত চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিদ, নার্স, সাংবাদিক, পুলিশসহ অংশীজন সব শ্রম কর্ম ও পেশাজীবী সমাজশক্তির প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠন করুন এবং করোনা মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য স্থাপন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের অমূল্য জীবনের সুরক্ষা দিন।

এছাড়াও বিদ্যুৎতের ভুতুড়ে বিল প্রসঙ্গে রহিম উদ্দিন বলেন এমনিতেই বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের উৎপীড়নে কম আয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত আর তার ওপর বছরে বারবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পাস হলে এক নরকের মধ্যে ঠেলে দেয়া হবে দেশকে। দেশের এই ক্রান্তিকালে জনগণের কাছ থেকে টাকা চুষে নিতে ড্রাগের নেশার মতো পেয়ে বসেছে সরকারকে। আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বছরে কয়েকবার বৃদ্ধির জন্য সংসদে উত্থাপিত বিলের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র তীব্র নিন্দা নয়, ধিক্কার জানাচ্ছি।

বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ত্রাণ বিতরণে ক্ষমতাসীনদের বাধার অভিযোগ এবং দেশের মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই মন্তব্য করে যুক্তরাজ্য যুবদলের এ নেতা বলেন, আজকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা থাকে জেলখানায় আর সরকারি দলের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, লুটপাট করে সারাদেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাহলে কি এই নিষ্ঠুর দুর্নীতি-লুটপাটের জন্যই বিরোধী দলকে সরকার দমন করছেন? গুম করছেন? মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নেয়া হচ্ছে? গোটা রাষ্ট্রের সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্যই কি এগুলো করছেন? একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু রেখেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন দেন না। রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করছেন। এটা চলতে পারে না।

পিপিই প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা নেতৃবৃন্দ এবং দেশবাসীর উদ্দেশ্য রহিম উদ্দিন বলেন গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করছেন, তারা সত্যের পথে ন্যায়ের পথে আছেন। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুপ্রেরণায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। তারা নিজেরা নির্যাতন সহ্য করেছেন, যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, তারপরও মাথা নত করেন নাই। আমরাও করবো না। বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ত্রাণ বিতরণে ক্ষমতাসীনদের বাধার অভিযোগ এবং দেশের মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই মন্তব্য করে যুক্তরাজ্য যুবদলের এ নেতা বলেন, আজকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা থাকে জেলখানায় আর সরকারি দলের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, লুটপাট করে সারাদেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাহলে কি এই নিষ্ঠুর দুর্নীতি-লুটপাটের জন্যই বিরোধী দলকে সরকার দমন করছেন? গুম করছেন? মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নেয়া হচ্ছে? গোটা রাষ্ট্রের সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্যই কি এগুলো করছেন? একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু রেখেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন দেন না। রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করছেন। এটা চলতে পারে না। তিনি বলেন গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করছেন, তারা সত্যের পথে ন্যায়ের পথে আছেন। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুপ্রেরণায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। তারা নিজেরা নির্যাতন সহ্য করেছেন, যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, তারপরও মাথা নত করেন নাই। আমরাও করবো না ইনশাআল্লাহ।

নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে এ নেতা আরো বলেন, একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে- এটা একটা একদলীয় ফ্যাসিস্ট সরকার। একদলীয় ফ্যাসিস্ট সরকার কখনোই জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে না। গণতান্ত্রিক একটি সরকার, গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা এটাই একমাত্র এই ধরনের যে বিশ্ব মহামারী সেই মহামারীকে মোকাবিলা করার উপযুক্ত হতে পারে। তাই ‘আসুন এই দুঃসময়ে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়াই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করি, জীবিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। একই সঙ্গে এই রাষ্ট্র যেন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতে পারে তার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।

সবশেষে তিনি বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত ৫৬ লাখ পরিবারের প্রায় সোয়া দুই কোটি মানুষকে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন সমূহের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানানা এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত বিএনপির ৭৩ নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন, এবং তাদের সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com