নিহত ছাত্রদল নেতার পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন ছাত্রদল-যুবদল নেতারা
কুমিল্লায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হাতে হত্যার শিকার ছাত্রদল নেতা পারভেজ হোসেনের পরিবারকে সহযোগিতা করতে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাদের বাধার মুখে পড়েন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও তার সাথে থাকা যুবদল-ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। গতকাল শনিবার দুপুরে কুমিল্লার ১ নং কালীরবাজার ইউনিয়নে নিহতের পরিবারকে সহযোগিতা করতে গেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেকান্দর আলীর নির্দেশে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দেন। পরে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু পরিস্থিতি সামাল দিয়ে নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সহ সভাপতি মোক্তাদির হোসেন তরু, কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, সিনিয়র সহ সভাপতি মঞ্জুর আলম রুবেল, মহানগর যুবদল নেতা আসিফ মাহমুদ জহির, মহানগর যুবদল নেতা মহিউদ্দিন হোসেন, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ফেরদৌস পাটোয়ারি,মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন শিবলু, সহ সভাপতি আসিফ ইকবাল ফারিয়াল, যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন ও জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ওমর ফারুক।
যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আমাদের অত্যন্ত একজন একনিষ্ঠ ছাত্রদল নেতা পারভেজকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেকান্দার আলীর নির্দেশে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী গত ১০ জুন তুলে এনে হত্যা করেন। এমনকি উল্টো পুলিশ তাকে ডাকাতি মামলা আসামী বানায়। আজ আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে আজ পারভেজ এর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি এবং তাদের খোঁজ খবর নিতে এসেছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই করোনা পরিস্থিতিতে আমরা যখন একটি হত্যার শিকার পরিবারের খোঁজ নিতে এসেছি তখন আমাদেরকে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আমরা পড়ে অন্য রাস্তা দিয়ে নিহতের বাড়িতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। আমি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এরকম নির্লজ্জ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য গত ১০ জুন সন্ধ্যায় স্থানীয় ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাকর্মীদের হাতে হত্যার শিকার হন ১ নং কালীরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ পারভেজ হোসেন।