সরকারের অনিয়ম দূর্নীতি লুটপাটে দেশবাসীর মুখ বন্ধ করার লক্ষ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

0

আমরা জানি ২০১৮ কিংবা ২০১৪ এর নির্বাচনে ভোট ডাকাতি কিংবা বিনা ভোটে ‘নির্বাচিত’ সরকার যতই আইন ও সংবিধানের চোখে ‘বৈধ’ হোক না কেন মানুষ এদেরকে নৈতিকভাবে বৈধতা দেয়না,। তাই এদের বানানো কোনো আইনকেও এখানকার মানুষ নৈতিক বৈধতা দেয়না,। আর সেই রাতের ভোটের ‘নির্বাচিত’ সংসদ আর ১৫৩ আসনে বিনা ভোটে ‘নির্বাচিত’ সংসদের নামে গত কয়েক বছরে একের পর এক গণবিরোধী আইন তৈরি হয়েছে,। সেইসব আইন একদিকে যেমন লুটপাটের ব্যবস্থা মসৃণ করেছে তেমনি পরিবেশ ধংসের আয়োজন সম্পন্ন করেছে,। আর এসবের বিরুদ্ধের যখনই একদমই নিরুপায় হয়ে যারা কথা বলছে তাদের জন্য নিপীড়নের ব্যবস্থা করার আইনও তৈরি করেছে,।

আমরা দেখেছি কুইক রেন্টালের নামে আইন করে বসিয়ে বসিয়ে মানুষের ট্যাক্সের টাকা সরকারের পছন্দের লোকদের দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে আইন করেই,। সেইসাথে আমরা এও দেখেছি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশি করতে এইখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও বিরোধীতা সত্বেও রামপাল কয়লা বিদুৎকেন্দ্র ও রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হচ্ছে তাও আইন করেই,। আইন করে ব্যংক এর হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ অবোলোপন করা হয়েছে,। আমরা জানি প্রতিবছর এইদেশ থেকে ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা যে পাচার হয় সেটাও নিশ্চয়ই আইনের ব্যবহারের মাধ্যমেই হয়,। জনস্বাস্থ্য খাতে গত এক দশকে লক্ষকোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে পর্দা কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা ঘটেছে,। আর এইসব নিয়ে যারাই কথা বলেছে বা বলছে তাদের মুখ বন্ধ করার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন,। আর এইসব আইন করার জন্য কোনোরকম সাংবিধানিক বা সিস্টেমেটিক বাধা পাওয়ার কোনোই সম্ভাবনা সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর থাকেনা,।

এইরকম কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাকাঠামো যে রাষ্ট্রব্যবস্থায় থাকে আর মানুষের কাছে জবাবদিহি করা নুন্যতম ব্যবস্থা যে সরকার ব্যবস্থায় থাকেনা সেইটা বহাল রেখে অনেক কষ্টেসৃষ্টে হয়তো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমরা বাতিল করাতে পারবো, কিন্তু গণবিরোধী আইন বানানোর ব্যবস্থাকে বদলাতে পারবোনা,। আজকে আমাদেরকে এই আইন বানানোর ক্ষমতার উৎসে যেতে হবে,। নয়তো দেখা যাবে ৫৭ ধারা ঠিকই চলে যাবে কিন্তু এর থেকেও ভয়ংকর ৩২ ধারা চলে আসবে,। আর কে না জানে কেন্দ্রীভূত জবাবদিহিতাহীন ক্ষমতাকাঠামোই ফ্যাসিবাদের অন্যতম পূর্বশর্ত! তাই আর যাইহোক কেন্দ্রীভূত জবাবদিহিতাহীন ক্ষমতাকাঠামো বহাল রেখে এদেশের মানুষের আর কোনো মুক্তি নেই,। তাই আমাদের আজকের ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই যেমন গণবিরোধী আইন বাতিলের লড়াই তেমনি কেন্দ্রীভূত জবাবদিহিতাহীন ক্ষমতাকাঠামো সংস্কারেরও লড়াইও চালিয়ে যেতে হবে,।

পরিশেষে শুধু বলবো কোনো আইন যদি ন্যায্যতার সীমা লঙ্ঘন করে তবে মানুষের কাজ হচ্ছে প্রথমে সেই আইন উপড়ে ফেলা,।

তাই এখনই সময় দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে অনির্বাচিত, অবৈধ আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়াবার পাশাপাশি এসকল গনবিরোধী আইনের বিরুদ্ধেও রূখে দাঁড়াবার,।

-ডালিয়া লাকুরিয়া

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com