গণমাধ্যমে অশনি সঙ্কেত: বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ডিইউজের
বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক ছাঁটাই, বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটি ও বেআইনিভাবে বেতন হ্রাস করেছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
রাজধানী ঢাকার গণমাধ্যমে এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
শুক্রবার (২৬ জুন) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক ছাঁটাই, বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান, বেতন হ্রাস, ঠিকা (চুক্তিভিত্তিক) সাংবাদিক নিয়োগের যে অনৈতিক আগুনে পা রাখছে, তাতে শুধু সংবাদমাধ্যমেই নয়, গোটা সমাজে অস্থিরতা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
তারা আরো বলেন, জীবিকা ধ্বংসের এ হীন ষড়যন্ত্র মূলত সমাজের অস্থিরতা তৈরির অপকৌশল। শিল্পে ও সমাজে অস্থিরতা তৈরির দায় মালিককেই নিতে হবে। জীবিকা রক্ষার প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও দাবি আদায়ে আরো কঠিন শপথ নিয়ে রাজপথে নামবে সাংবাদিকরা।
ডিইউজে নেতৃবৃন্দ মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের চাকরি সুরক্ষাসহ গণমাধ্যম শিল্প রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। অবিলম্বে, সরকারের নেতৃত্বে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান ডিইউজে নেতারা।
ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতিতে নেতারা বলেন, করোনাভাইরাসের মতো ভয়ঙ্কর সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা কোনো ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া কেবলমাত্র পেশাগত দায়িত্ববোধ, প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম বৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষের তথ্য চাহিদা পূরণের কথা ভেবে শত ঝুঁকির মধ্যেও কাজ করছেন। অথচ, নানা অযুহাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পেশাদার সাহসী সংবাদকর্মীদের বেতন কমিয়ে দেয়ার কিংবা বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটি জারির অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
ডিইউজে নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গণমাধ্যম মালিকেরা তাদের হীন পাঁয়তারা অবিলম্বে বন্ধ না করলে প্রয়োজনে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে অল্প সময়ের মধ্যে কঠিন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। যা কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।